দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউরিক অ্যাসিড দীর্ঘ দিন ধরে জমতে জমতে এক সময় তা ‘ক্রিস্টাল’-এর আকার নেয়। যে কারণে অস্থিসন্ধির নমনীয়তা নষ্ট হয় ও কিডনিতে পাথর জমে।
কোন কোন খাবার খেয়ে এই অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে? তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খাবার দিয়েও ইউরিক অ্যাসিডকে বশে আনা সম্ভব।
সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই পায়ের আঙুলে ব্যথা কিংবা হাতের আঙুল ভাঁজ করতে না পারা, হাত কিংবা পায়ের অস্থিসন্ধিগুলো ফুলে থাকা যে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ, এই কথা আমাদের অনেকের জানা। কারণ হলো রক্তচাপ, ডায়াবেটিস-এর মতো ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাও এখন জীবনধারা-নির্ভর রোগের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই খাওয়ার তালিকা থেকে টম্যাটো, ঢেঁড়শ, মুসুর ডাল বাদ দিয়ে দেন অনেকেই।
তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, প্রতিদিনের তালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিলেও ইউরিক অ্যাসিড কমে না। মূত্র্রের মধ্যে থাকা বিভিন্ন যৌগের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডও হলো একটি। শরীরের মধ্যে এটি থাকবেই। কার শরীরে কতোটা পরিমাণ এই অ্যাসিড থাকবে, তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ ও বিপাকের হার কেমন ঠিক তার উপর।
সাধারণত শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে, তা অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে জমা হতে থাকে। দীর্ঘদিন জমতে জমতে তা ‘ক্রিস্টাল’-এর আকারও নেয়। যে কারণে অস্থিসন্ধির নমনীয়তাও নষ্ট হয়। অপরদিকে, কিডনিতে বা মূত্রনালিতে পাথর জমার অনেক কারণের মধ্যে এটি একটি কারণ।
পুষ্টিবিদরা বলেছেন, বেশ কয়েক বছর আগেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে নানা খাবারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতো। তবে এখন নির্দিষ্ট কিছু খাবার ছাড়া, নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে সবই খাওয়া যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হয় ওজন যেনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে।
ইউরিক অ্যাসিড হলে কী কী খাওয়া খাওয়া নিষেধ, তা অনেকেই জানেন। তবে কোন কোন খাবার বেশি করে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, তা কী আপনারা জানেন? আজ বিষয়টি জেনে নিন।
‘লো ফ্যাট’ দুগ্ধজাত খাবার
খেতে ভালো লাগলেও ‘ফুল ক্রিম’ কিংবা ‘ফুল ফ্যাট’ যুক্ত দুধ ও সেই দুধ দিয়ে বানানো খাবার এড়িয়ে চলায় ভালো। এর বদলে প্রতিদিন ‘ডবল টোনড’ কিংবা ‘স্কিমড’ দুধ থেকে বাড়িতে পাতা দই খেতে পারেন। বানাতে পারেন ঘোল বা পনির।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভালো। তবে এই ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে সঙ্গে সামুদ্রিক মাছেও ক্ষতিকারক ‘পিউরিন’ নামক একটি যৌগ থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সার্ডিন, ট্রাউট কিংবা টুনার মতো সামুদ্রিক মাছ না খেয়ে পমফ্রেট কিংবা ইলিশের উপর ভরসা করতে পারেন।
ভিটামিন সি
গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন সি, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। শুধু লেবু কিংবা সাইট্রাসজাতীয় ফলই নয়, চেরি, স্ট্রবেরি কিংবা টকজাতীয় যে কোনও ফলেই অল্প হলেও ভিটামিন সি থাকেই। তাই প্রতিদিন সামান্য হলেও টক ফল খাওয়া উচিত।
উদ্ভিজ্জ প্রোটিন
শরীর সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন খাবারে প্রোটিন রাখতে হবে। তাই প্রাণীজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এমন সময় উদ্ভিদই একমাত্র ভরসা। শাকসব্জি খাওয়ার পাশাপাশি নানা রকম দানা, ডাল, মাশরুম খাবারে যোগ করতে পারেন রুটিন মাফিক। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।