দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতের সময় আপনি কী বারবার ফাটা গোড়ালি নিয়ে বিরক্ত? যদি তাই হয় তাহলে এর পিছনে শুধু সাধারণ কারণই নয়, এমন কিছু কারণও থাকতে পারে যা আপনি হয়তো কখনও ভাবেননি।
আপনি বারবার যে ব্যথার ফাটা গোড়ালির সমস্যাটি আপনার পেটের সঙ্গে সম্পর্কিত। হয়তো আপনি অবাক হচ্ছেন? আজ জেনে নিন চিকিৎসকের পরামর্শ।
ফাটা গোড়ালি কাররই ভালো লাগে না। সে কারণে কেও মোজা দিয়ে লুকিয়ে রাখে, কেওবা জুতা পরে। ফাটা গোড়াসি থাকার কারণে, কেও কেও আবার খোলা জুতো পরতেই পারেন না, মোট কথা হীনমন্যতায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোড়ালি ফাটা হলে এতে শুধু আত্মবিশ্বাসই কমে না, এর থেকে আরও নানা সমস্যারও জন্ম দিতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, যদি পা ফাটা নিরাময় না করা হয়, তাহলে তারমধ্যে যে আর্দ্রতা ও ঘাম জমে থাকে তাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্মও দিতে পারে। একইভাবে এতে রক্তপাতের সমস্যা হতে পারে। সে জন্যই সঠিক সময় মনোযোগ দিয়ে সেরে ওঠাটা জরুরি, অন্যথায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।
পায়ের গোড়ালি এই ফাটার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। ধুলাবালিতে বেশি বেশি কাজ করা, মৃত কোষ না সরানো, পা পরিষ্কার না রাখা, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ক্রিম না লাগার কারণেও শুষ্ক হয়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণগুলো এই তালিকায় রয়েছে। তবে কখনও কখনও এর কারণও স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অলকা বিজয়ন তার ইনস্টাগ্রামে এই সম্পর্কিত একটি পোস্টও শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি ছেঁড়া গোড়ালি ও পেটের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেছেন।
কী বলছেন চিকিৎসক?
ডা. অলকা অন্ত্রের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ভিডিও শেয়ার করেন। এতে তিনি এমন অস্বাভাবিক উপসর্গের কথা বলেন, যা থেকে বোঝা যায় যে, ফাটা গোড়ালির পিছনে রয়েছে হজম কিংবা পাকস্থলীর ঠিক না থাকা। যারমধ্যে রয়েছে প্রলেপযুক্ত কিংবা আলসারযুক্ত জিহ্বা, মুখ কিংবা শরীরে ব্রণ, মুখের ভিতরের আলসার কিংবা অ্যাসিডিটি- পেট ফুলে-ফেঁপে যাওয়া। তবে তিনি যে শেষ লক্ষণটির কথা বলেছিলেন তা কিছুটা আশ্চর্যজনকও। চিকিৎসক বলেছিলেন যে, ফাটা গোড়ালি খারাপ অন্ত্রের স্বাস্থ্য নির্দেশ করে থাকে। তিনি মানুষকে এই উপসর্গগুলোতে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।
তেল মাসাজ
তেল দিয়ে মালিশ করার পরামর্শ দেন, কারণ এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারগুলো খুব কার্যকর। সে জন্য একটি তেল কিংবা কিছু তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতেই পারে।
গ্লিসারিন-ময়েশ্চারাইজার
গ্লিসারিন হলো অন্যতম সেরা একটি ময়েশ্চারাইজার, যা ফাটা গোড়ালি দ্রুত সারাতেও সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করতে, একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ গ্লিসারিন নিন ও তাতে দুই চা চামচ গোলাপ জল যোগ করুন। এর সঙ্গে এক চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস মেশান। ঘুমানোর পূর্বে এই মিশ্রণটি দিয়ে গোড়ালি ম্যাসাজ করুন ও শুকিয়ে গেলে এর উপরে মোজা পরুন।
ওটমিল ব্যবহার
একটি ব্লেন্ডারে এক টেবিল চামচ ওটমিল নিয়ে একটি পাত্রে রাখুন ও তাতে জোজবা তেল যোগ করুন। তারপর পেস্টের মতো ঘন করে রাখুন। এটি দিয়ে আপনার ফাটা গোড়ালি ম্যাসাজ করুন ও তারপর আধা ঘন্টা রেখে দিন। সাধারণ পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। তবে বেশি চাপ দেবেন না। এই এক্সফোলিয়েশন ফুট মাস্ক ফাটা গোড়ালি সারাতেও সাহায্য করবে।
চালের আটা ব্যবহার
আপনি একটি বড় পাত্রে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ চালের আটা, ২ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি ভালোভাবে মিশ্রিত করে তারপর ১০ মিনিটের জন্য মৃদু চাপ দিয়ে আপনার ফাটা জায়গায় ঘষতে থাকুন। তাছাড়াও আপনি স্ক্রাব করার পূর্বে ১৫ মিনিটের জন্য আপনার পা হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন, যা গোড়ালি নরম করবে ও এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে মৃত ত্বক অপসারণ করতেও সাহায্য করবে এই পদ্ধতিটি। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।