দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে প্রত্যেকেরই হাত, পায়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। বডি লোশন কখন ত্বকে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তা কী আপনি জানেন?
প্রতিদিনই একটু একটু করে নামছে শীত। এবার হেমন্তেই যে হিমেল হাওয়া বইছে, পৌষ-মাঘে কী হবে, তা বোঝা মুশকিল। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও কমতে থাকে। রুক্ষ-শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। ত্বক তার প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। আর তখন ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
দেখা যায় অনেক সময় চুলকানি হয়। ত্বক লাল হয়ে যায়। তাই ত্বকে প্রয়োজন আর্দ্রতা। সেই কারণেই ময়শ্চারাইজার লাগানোও দরকার। তবে ঠিক কোন সময় ময়শ্চারাইজার মাখলে বেশি ভালো কাজ হবে? সেটি আজ জেনে নিন আপনি। এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কোলকাতার চিকিৎসক অনিকা গোয়েল।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনিকা গোয়েল তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে একাধিক স্কিন কেয়ার টিপস দেন। শীত পড়তেই উইন্টার স্কিন কেয়ার কিংবা শীতে ত্বকের যত্ন নিয়ে বেশ কিছু টিপসও দিয়েছেন তিনি। এই শীতে আপনার স্কিন কেয়ার রুটিনে সামান্য বদল হতে পারে।
সারা বছর আপনি যে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন, এই সময় আরও ভারি ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে এই ময়শ্চারাইজার কোন সময় মাখলে বেশি ভালো কাজ করবে, তা পোস্টে জানিয়েছেন চিকিৎসক অনিকা গোয়েল।
কেনো ময়শ্চারাইজার লাগানো প্রয়োজন
ময়শ্চারাইজার আপনার ত্বকের জন্য খুবই দরকার। এই সময় ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতাও হারাতে শুরু করে। তাই বাইরে থেকে ত্বকে আর্দ্রতার প্রলেপ তৈরি করা দরকার।
এই কাজটি করে থাকে ময়শ্চারাইজার। ময়শ্চারাইজার না লাগালে ধীরে ধীরে ত্বক আরও রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে উঠবে। আবার ত্বক ফাটতেও শুরু করতে পারে। তাই এদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এই শীতে ময়শ্চারাইজার মাখুন
আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী আপনি ময়শ্চারাইজার বেছে নিন। আবার মুখেও ময়শ্চারাইজার লাগাবেন। সেইসঙ্গে হাতে ও পায়েও ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে আপনাকে। কোনওভাবেই যেনো এটি মিস না হয়। এই বিষয়েও খেয়াল রাখবেন যে, দিনে অন্তত দু’বার ময়শ্চারাইজার লাগানোটা জরুরি। সকালে গোসল করে উঠেই একবার ময়শ্চারাইজার লাগান। আবার সন্ধ্যাতেও আরও একবার ময়শ্চারাইজার মাখুন। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক প্রকৃতির হয়ে থাকে, তবে সঠিক সময় নিয়ম করে ময়শ্চারাইজার মাখুন। আবার তৈলাক্ত ত্বকেও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে ত্বকের বারোটা বাজতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
কোন সময় ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করবেন?
এখন প্রশ্ন হলো দিনের কোন সময়টায় ময়শ্চারাইজার লাগানোটা জরুরি? অর্থাৎ, কোন সময় ময়শ্চারাইজার লাগালে সবথেকে বেশি কাজ হতে পারে? সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনিকা গোয়েল। তাঁর মতে, স্নান করে উঠেই গায়ে, হাতে, পায়ে ভালো করে ময়শ্চারাইজার মাখা দরকার। ভিজে ত্বকেই ময়শ্চারাইজার লাগানো ভালো।
কেনো ভিজে ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগাবেন?
কেনো ভিজে ত্বকেই ময়শ্চারাইজার মাখার পরামর্শ দিচ্ছেন এই চিকিৎসক? সেই উত্তরও দিয়েছেন তিনিই। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উল্লেখ করেছেন তার কারণ। অনিকা গোয়েলের মতে, আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেও তার প্রভাব পড়ে। সাধারণত শীতকালে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। তখন খড়ি উঠতে থাকে। তাই এই সময় আপনার ত্বকে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা দরকার। খুব ভালো হয় যদি আপনি স্নান করার পর পরই ত্বকে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করেন। ভিজে ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগালে তা আরও ভালো। কারণ হলো, সেই সময় ত্বক আরও বেশি করে আর্দ্রতা গ্রহণ করতে পারে।
তাই স্নান করে উঠেই তোয়ালে দিয়ে আপনার হাত, পা মুছে নিন। এরপর হালকা ভিজে ত্বকেই অর্থাৎ ড্যাম্প স্কিনে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন- জানালেন চিকিৎসক অনিকা গোয়েল। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।