দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠার মতো সমস্যাও ডেকে আনতে পারে শারীরিক সমস্যা। অল্পতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। তাই দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমাতে যে পন্থা আপনাকে নিতে হবে।
বলা হয়, শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের যোগও অবিচ্ছেদ্য। দ্রুত গতির জীবনে মানসিক চাপ উপেক্ষা করার উপায়ও নেই। তবে দুশ্চিন্তা কিংবা উৎকণ্ঠার মতো সমস্যা ডেকে আনতে পারে শারীরিক নানা সমস্যা। অল্পতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। সুস্থ জীবন পেতে হলে, সুস্থ শরীরের পাশাপাশি প্রয়োজন সুস্থ মন। এই ধরনের সমস্যা বেশিদিন থাকলে, মনোবিদের পরামর্শ নেওয়াও বাঞ্ছনীয়। তবে সমস্যা কম থাকলেও, বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতেও সহায়তা করতে পারে।
# রুটিনের বাইরের কিছু সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। পছন্দের কোনও বিষয় থাকলে দিনের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টা রাখুন সেজন্য। এই সব কাজে মনকে সক্রিয় রাখলে মানসিক চাপ কম থাকবে। নিয়ম করে ডায়েরিও লিখতে পারেন। মানসিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই মনের কথা লিখে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কি কি কারণে মনের উপর চাপ বাড়ছে, বা উদ্বেগ বাড়ছে- তা লিখে রাখতে পারলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। আবার বুঝতে পারা যায় নিজের মনের গতিপ্রকৃতি।
# নিজের ঘুমের প্রতি নজর দিন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে বেড়ে যেতে পারে যে কোনও মানসিক সমস্যা। অনিদ্রা এবং মানসিক সমস্যা, একটি অপরটিকে ডেকে আনে। তাই ঘুম কমে গেলে উদ্বেগও বাড়তে থাকে। তাই দৈনিক অন্তত ৬ হতে ৮ ঘণ্টা ঘুম চাই-ই চাই। যারা ঘুমের পূর্বে কফি পান করেন, তাদের সেই অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ কফিতে থাকে ক্যাফিন। এই উপাদানটি স্নায়ুকে আরও উত্তেজিত করে দেয় ও উদ্বেগের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। সেইসঙ্গে কফি খেলে অনিদ্রার সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
# ধূমপান ও মদ্যপান উদ্বেগ বাড়ালেও অনেকেই নেশার আশ্রয় নেন। ভাবেন যে, নেশার ঘোরে দূর হয়ে যাবে সব রকম চিন্তা। তবে হয় তার ঠিক উল্টো। অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপানও বাড়িয়ে দিতে পারে মানসিক সমস্যা। বিশেষ করে যদি মদে আসক্তিই তৈরি হয়, তবে মনের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই উদ্বেগের সময় অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা সমীচীন। একই বিষয় প্রযোজ্য কফির ক্ষেত্রেও।
তবে মনে রাখতে হবে যে, এ সবই ঘরোয়া ও একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের সমাধান। উদ্বেগের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।