দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘গোয়িং গ্লোবাল এশিয়া প্যাসিফিক কনফারেন্স’ আয়োজনের সকল প্রস্তুতিই সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানের বিস্তৃতিতে নেতৃবৃন্দের জন্য একটি কৌশলগত ফোরাম প্রণয়ণে ও বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যতকে নতুন মাত্রাদানে একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে এই সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে। আগামী ২৮ নভেম্বর হতে ১ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে চলেছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট ‘গোয়িং গ্লোবালের’ এই আঞ্চলিক কনফারেন্স।
সম্মেলনে যুক্তরাজ্য এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আন্তর্জাতিক শিক্ষার থিম নিয়ে আলোচনা করা হবে। “একটি অসম বিশ্বে কীভাবে সমতা অর্জন করা যায়,” বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। চিন্তাভাবনার আদান- প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার ভবিষ্যৎ পুনর্বিবেচনা করতে, একে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে, অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে ও আন্তর্জাতিকভাবে সংযুক্ত একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এই সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন ৭ সদস্য-বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল; যাদের মধ্যে রয়েছেন: বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার ড. মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ইউজিসির এসপিকিউএ’র ডিরেক্টর ড. দুর্গা রানী সরকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সামদানী ফকির ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তানজিমা ইয়াসমিন। যারমধ্যে ড. মোখলেসুর রহমান, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং ড. গোলাম সামদানী ফকির ‘ফিউচার অব টারশিয়ারি এডুকেশন’, ‘প্রগ্রেসিভ ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশনাল পার্টনারশিপস’, ‘স্ট্র্যাটেজিস টু প্রমোট জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইন এসটিইএম’ ও ‘রিজিওনালাইজেশন: আ কি টু ইন্টারন্যাশনালাইজেশন’ বিষয়ে আলাদা প্যানেল আলোচনায় অংশ নিবেন।
সম্মেলন নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক টম মিশশা বলেছেন, “আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দের জন্য আয়োজিত গোয়িং গ্লোবাল এশিয়া প্যাসিফিক ২০২২ কনফারেন্সে বাংলাদেশের উৎসাহী অংশগ্রহণে আমি সত্যিই অভিভূত। প্রতিনিধিরা সেখানে টারশিয়ারি শিক্ষার ভবিষ্যৎ, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব হতে শুরু করে এসটিইএম শিক্ষায় লিঙ্গ-সমতাকে উৎসাহ দেয়ার ওপর প্যানেল আলোচনায় অংশ নিবেন।”
সম্মেলনে ইন-পারসন এবং লাইভস্ট্রিম উভয় ধরনের সেশনই থাকছে। সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে স্যান্ডসে আয়োজিত ইন-পারসন ইভেন্টে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল এবং যুক্তরাজ্যের ১৪০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে এমন ২০টি রাষ্ট্র এবং অঞ্চলের ২০০ টারশিয়ারি শিক্ষাখাতের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অংশ নিবেন। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী শিক্ষাখাতের সিনিয়র নেতারা রেজিস্ট্রেশন ফর লাইভ স্ট্রিম সেশন -এর মাধ্যমে অনলাইন কনফারেন্সের মূল আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন। সম্মেলন উন্মোচন করবেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অব এডুকেশন ম্যাডেলেইন অ্যানসেল; যেখানে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক শিক্ষা চ্যাম্পিয়ন স্যার স্টিভ স্মিথ। কনফারেন্সে পরিবর্তিত বিশ্বে শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে লিঙ্গ-বৈষম্য চিহ্নিত করা, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কাজে অবদান রাখবে সহ নানান বিষয়ে আলোকপাত করা হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অব এডুকেশন ম্যাডেলেইন অ্যানসেল বলেছেন, “এ বছর সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক গোয়িং গ্লোবাল কনফারেন্সের আয়োজন করতে পারায় আমরা আনন্দিত। একইসঙ্গে, এই নগররাষ্ট্রটিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭৫ বছর পূর্তি ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বারোপ করাকে উদযাপন করা হবে। সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিস্তৃতভাবে আলোচনা করা হবে; এর মধ্যে রয়েছে- বিদেশে অবস্থানরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিত করা, দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপকৃত করতে দেশগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট গোয়িং গ্লোবাল কনফারেন্স গত ২০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞান ছড়িয়ে দিয়ে নেতৃবৃন্দের জন্য একটি কৌশলগত ফোরাম প্রস্তুত করতে ও বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যতকে আকার দেয়ার ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।”
পরবর্তী আন্তর্জাতিক গোয়িং গ্লোবাল কনফারেন্স ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে। গোয়িং গ্লোবাল এশিয়া প্যাসিফিক ২০২২ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.britishcouncil.sg/events/going-global-asia-pacific-conference-2022
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।