দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনায় নিজের চোখ হারিয়ে শেষ পর্যন্ত বায়োনিক চোখের নারী হয়ে উঠলেন চীনের জনৈকা তরুণী!
নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে বায়োনিক অর্থাৎ কৃত্রিম চোখ তৈরি করার জন্য। তার তৈরি কৃত্রিম চোখগুলো বিভিন্ন উজ্জল রংয়ের হয়ে থাকে।
২০১৩ সালে, জিয়া টং একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তার বাম চোখটি হারান। সেই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। এরপর তিনি একটি কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপন করেন।
তবে নিজের জীবনকে সেখানেই থেমে থাকতে দেননি জিয়া টং নামে ওই নারী। নিজের প্রতি আস্থাও হারাননি; অন্যদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়েও নেন নি তিনি। বরং নিজেকে অন্যদের মধ্যে অন্যতম করে তোলার জন্য তার পরিস্থিতি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন। আই টেকনিক কিংবা কৃত্রিম চক্ষু প্রযুক্তিবিদ (চক্ষু বিশেষজ্ঞ) হওয়ার জন্য পড়া-লেখাও শুরু করেন জিয়া টং।
জিয়া টং কৃত্রিম চক্ষু প্রযুক্তিবিদ হয়ে উঠার পর নিজের জন্য বিভিন্ন ধরণের অনন্য কৃত্রিম সামগ্রী তৈরি করতে শুরু করেন। তার তৈরি এই কৃত্রিম সামগ্রীগুলোর কিছু ফুটেজ তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করতো। ধীরে ধীরে তার বিশাল ফলোয়ার তৈরি হতে থাকে।
জিয়া টংয়ের তৈরি কৃত্রিম চোখগুলো এতোটাই ক্লাসিক যে সাধারণ মানব চোখ থেকে এর পার্থক্যই করা যায় না। তবে তিনি তার তৈরি “বায়োনিক চোখ” এর জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান। যে চোখগুলোর রং একটি বোতামের মাধ্যমে পরিবর্তনও করা যায়, এমনকি ওই চোখগুলো ফ্ল্যাশ করতেও সক্ষম।
তার তৈরি এই অস্বাভাবিক কৃত্রিম যন্ত্রগুলোর কিছু ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে ভিডিওগুলো চীনে ভাইরাল হয়। যে কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন জিয়া টং।
২৮ বছর বয়সী জিয়া টং বেইজিং নিউজকে জানিয়েছেন, চোখ হারানোয় যারা নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার লড়াই করছেন তাদেরকে সাহায্য করার জন্যই তিনি কৃত্রিম চোখ তৈরি করেন।
তিনি এমন অনেক লোকের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছিলেন যারা চোখ হারানোর বেদনায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন এবং এটি তাকে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ হতে ও আরও ভালো প্রস্থেটিকস তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।