দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নবজাতক শিশুর জন্য ম্যাসাজ অত্যন্ত উপকারী বলেই মনে করা হয়, আবার কেও কেও মনে করেন, ম্যাসাজ শিশুর ত্বক ফর্সা করতে পারে। কোনটি ঠিক? বিশেষজ্ঞরা কী বলেন?
শিশুদের ম্যাসাজ করার অভ্যাস শতাব্দী প্রাচীন। আগেকার আমলের মায়েরা বাচ্চাদের তেল দিয়ে রোদে বসে মাসাজ করাতেন। আর তখন বলা হতো, ম্যাসাজ করলে নাকি শিশুর হাড় মজবুত হয় ও পেশীও নাকি মজবুত হয়। আবার কিছু মানুষ এটাও বিশ্বাস করে যে, শিশুকে ম্যাসাজ করলে শিশুর ত্বক নাকি আরও উজ্জ্বল হয়।
এই বিষয়টি আপনিও যদি মনে করেন ও প্রতিদিন শিশুকে ম্যাসাজ করেন ঝলমলে স্কিন পাওয়ার আশায়,তাহলে এর কতোটা সত্যতা রয়েছে তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়া যেতে পারে। এটা জানার পর আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে, আপনার শিশুকে ম্যাসাজ করলে আসলে কী কী উপকার পাবেন।
বিশেষজ্ঞের মত কী?
এই বিষয়ে ভারতের নয়ডার আর্লি ইন্টারভেনশন সেন্টারের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ স্বাতী শেঠ বলেছেন, ম্যাসাজ করলে শিশুর ত্বকের কোনও পরিবর্তনই হয় না। শিশুর গায়ের রং উজ্জ্বল হবে নাকি অন্য কিছু হবে, এটা সম্পূর্ণই নির্ভর করে তার জিনের উপর। তাই ম্যাসাজ করলে ঝকঝকে ত্বক হওয়াটা একেবারেই যুক্তিযুক্ত বিষয় নয়।
ক্রিম ফর্সা করে না
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন,কোনও ম্যাসাজ তেল কিংবা ক্রিম শিশুর ত্বক আদতেও উজ্জ্বল করতে পারে না। আপনি যদি আপনার শিশুর গায়ের রং উজ্জ্বল করার জন্য ম্যাসাজ করেন, তাহলে আপনার সেটি করা বন্ধ করা উচিত।
শিশুর ম্যাসেজে তাহলে কী উপকারিতা?
তবে এমন নয় যে, শিশুকে মালিশ করলে অন্য কোনও উপকার হয় না। এটি নবজাতকের শারীরিক, মানসিক ও উন্নয়নমূলক সুবিধা প্রদান করে থাকে। এশিয়ান নার্সিং রিসার্চ জার্নাল অনুসারে শিশুর ম্যাসেজ শিশুর মানসিক বিকাশকেও প্রভাবিত করে। আবার মা ও শিশুর মধ্যে বন্ধনও তৈরি হয়। ম্যাসাজ শিশুর মানসিক চাপ কমায় ও শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ করে থাকে, যা শিশু ভালো অনুভব করে। তাছাড়াও ম্যাসাজিং শিশুর দক্ষতা ও বিকাশ ঘটায়। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।