দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময় বা নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমোলেই হবে না। কীভাবে ঘুমোচ্ছেন, সেটিও জরুরি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোনো শরীরের জন্য খুবই ভালো। এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে।
শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলের পরামর্শই হলো, পরিমাণ মতো ঘুমোতে হবে। তবেই সুস্থ থাকবে আপনার শরীর। তবে শুধু নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমোলেই চলবে না। আপনি কিভাবে ঘুমোচ্ছেন, সেটিও জরুরি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোনো শরীরের জন্য খুবই ভালো। স্বাস্থ্যের দিক থেকে দেখতে গেলে, এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে।
লিভার ভালো থাকে
বাঁ দিক ফিরে ঘুমোলে যে উপকারগুলো পেতে পারেন, যারমধ্যে অন্যতম হলো লিভারের কার্যকারিতা সঠিক রাখা। এভাবে ঘুমালে লিভার ভালো থাকে। যে কারণে হজমও ভালো হয়। আবার পেটের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
বুকজ্বালার সমস্যা দূর
বদহজম, বুকজ্বালা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ভরসা করেন ওষুধ ও নানা ধরনের ঘরোয়া টোটকাতে। তবে সেগুলো ছাড়াও বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোলে পেতে পারেন সুফল।
অনিদ্রা সমস্যার সমাধান
অনেকেরই রাতে ঘুম আসতে চায় না। কী কাজ করলে ঘুম আসবে, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও কোনও ফল হয় না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোনোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন। নাক ডাকার সমস্যাও কমতে পারে বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোনোর কারণে।
হার্ট ভাল থাকে
চিকিৎসকরা বলেছেন, বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো রাখা যাবে। এই ভঙ্গিতে ঘুমোলেই রক্ত চলাচল স্বাভাবিক ও সচল থাকে। হার্টের রক্ত পাম্প করতে কোনও অসুবিধায় হয় না। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এ কারণে।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্যও ভালো
যারা মা হতে চলেছেন, তাদের বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোনোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এতে করে গর্ভস্থ শিশু অনেকটা সুরক্ষিত থাকে। শরীরের রক্ত চলাচলও থাকে স্বাভাবিক। এই সময় ভালো ঘুম হওয়াটা জরুরি। বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোলে ঘুমও হয় ঠিকঠাক।
সব কিছুরই ভালো ও খারাপ দিকও রয়েছে। কাঁধ ও ওই অঞ্চলের অন্য কোনও অংশে ব্যথা হলে বাঁ পাশ ফিরে না ঘুমোনোই ভালো। এইক্ষেত্রে আবার হিতে বিপরীতও হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।