দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিরবিদায় জানালেন বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি পেলে। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত এই ফুটবল সম্রাট হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে পেলের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রথম প্রহরে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত হয়। খবর-এএফপির
পেলের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘ অসুস্থতার পর প্রয়াত হয়েছেন বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সেরা এই ফুটবল তারকা। ৮২ বছর বয়সী এই মহাতারকা ব্রাজিলের সাও পাওলোর একটি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
পেলের যতো রেকর্ড
# কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপ জেতেন পেলে। ১৯৫৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিলেন এই ফুটবল সম্রাট। সেই বছর সুইডেনকে ফাইনালে ৫-২ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। দুটি গোল করেছিলেন স্বয়ং পেলে নিজেই। সেইসময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর ২৪৯ দিন।
# ৩ বার বিশ্বকাপ জিতেছিলেন পেলে– ১৯৫৮ সাল, ১৯৬২ সাল ও ১৯৭০ সাল। বিশ্বের আর কোনও খেলোয়াড়ের এই রেকর্ড নেই। ১৯৫৮ সাল ও ১৯৭০ সালের ফাইনালে গোলও করেন পেলে।
# রেক.স্পোর্টস.সকার স্ট্যাটিস্টিক ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, ব্রাজিলের জার্সিতে মোট ৯২টি ম্যাচে ৭৭টি গোল করেছিলেন পেলে। ফ্রেন্ডলিতে ৩৪টি, বিশ্বকাপের যোগ্যতা-অর্জন পর্বে ৬টি, বিশ্বকাপে ১২টি, কোপা আমেরিকায় ৮টি ও অন্যান্য টুর্নামেন্টে ১৭টি গোল করেছিলেন পেলে।
# বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করার রেকর্ড তৈরি করেছিলেন পেলে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে ওয়েলসের বিরুদ্ধে গোল করেন। সেইসময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর ২৩৯ দিন। ওই গোলের সুবাদেই সেবার ম্যাচ জিতেছিল ব্রাজিল।
# বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিকের নজির গড়েছিলেন পেলে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন ‘ব্ল্যাক পার্ল’। সেইসময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর ২৪৪ দিন।
এক সময় যিনি বিশ্বফুটবলের সম্রাট ছিলেন সেই পেলে আজ বিদায় নিলেন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে। তবে ফুটবল বিশ্বের সাম্রাজ্যের জাদুকর, সম্রাট, রাজা, বাদশা ছিলেন তিনি। আজ তাঁর বিদায়ে বিশ্বফুটবল স্তম্ভিত। কিন্তু চিরায়ত নিয়ম সকলকেই মেনে নিতে হবে। তিনি চলে গেলেও তাঁর সব কিছুই অমর থাকবে বিশ্বময়। হাজার হাজার বছর ধরে তাঁকে স্মরণ করবে ফুটবল বিশ্ব- সেই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।