দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ একটি বিষয় হলো নিজের শরীরের অবস্থা নিজের চেয়ে ভালো আর কে বোঝে? তবে শুধু বুঝলেই হবে না, নিজের শরীর বুঝে সেইভাবে নিজেকে চালনা করতে হবে। যেমন আপনার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরাতে পারেন নিজেই।
উৎসবের মৌসুম এলে তখন নানা রকম খাবার খাওয়া তো আছেই। নিজেকে সংযত রেখে বন্ধু, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন সকলের অনুরোধে নানা রকম খেয়ে ফেলেন অনেকেই। যে কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় ডায়াবেটিস রোগীদের। কারণ হলো, রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন থাকবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তির খাওয়া-দাওয়া ও জীবনযাপনের উপর। এই জীবনযাত্রায় যদি হঠাৎ করেই পরিবর্তন আসে, তখন শর্করার মাত্রা বিঘ্নিতও হতে বাধ্য। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে হলে শুধু ওষুধ খেলেই হবে না। নিজের শরীর, খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চার বিষয়েও সচেতন হতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া ছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর কোন কোন বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার তা এখন দেখে নিন।
মাত্রা বুঝে তবেই ওষুধ খান
উৎসবের মৌসুমে চিকিৎসকের বারণ করা এমন কতো কীই যে খেয়েছেন, তার কোনো ঠিক নেই। যে কারণে চড়চড় করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেছে। তবে ওষুধ খাচ্ছেন সেই আগের মাত্রা অনুযায়ীই। যে কারনে শর্করার মাত্রা তো কমছেই না, উল্টো চিন্তায় পড়ে ভারসাম্যও বিঘ্নিত হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে কিছু উপায় আপনাকে অবলম্বন করতে হবে। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ওষুধের মাত্রা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে।
কোনো অবস্থাতেই যেনো পানির ঘাটতি না হয়
শরীরে পানির অভাব হলে নানা রকম রোগের উৎপত্তি হয়। রক্তে শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতে হলেও পানি খাওয়াটা জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৬ হতে ৭ গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে দীর্ঘদিন ধরে রক্তে শর্করা থাকার কারণে যদি কিডনির সমস্যা দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পানি মেপে খেতে হবে। অর্থাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে পানি খেতে হবে।
পরিকল্পনা মোত খাবার খান
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়- ফল, শাক-সব্জি, দানাশস্য সব কিছুতেই প্রাকৃতিক চিনি থাকে। সুতরাং সারাদিনে আপনি কী খাবেন কিংবা কতোটা খাবেন, তার উপর নির্ভর করবে রক্তের শর্করার মাত্রাও। কীভাবে দিনের প্রতিটি খাবারের ক্যালোরি অনুযায়ী ভারসাম্য বজায় রেখেই খাবার খাবেন, তার পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রাখা উত্তম।
করতে হবে শরীরচর্চা
অনেক সময় ছুটির মেজাজে থাকলে শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করে না। অনেকেই মনে করেন যে, টানা শরীরচর্চার রুটিন থেকে দু’টি দিন বাদ পড়লে বোধ হয় এমন কিছু ক্ষতিও হবে না। সাধারণভাবে, সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা না হলে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তা সমস্যার কারণও হতে পারে। তাই খুব বেশি কিছু না করলেও প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট হাঁটাহাটি করতেই হবে।
কার্বজাতীয় খাবার কম খেতে হবে
আপনি সারাদিনে যতো রকম খাবার খাচ্ছেন, তারমধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। সাধারণ বাড়ির খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ কোনো ধরনের পরিবর্তনই আনতে যাবেন না। এতে করে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও তখন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।