দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধূমপানের অভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনেক ক্ষেত্রেই ডেকে আনতে পারে হৃদযন্ত্রের সমস্যা। কোন রোগ থাকলে বাড়িয়ে দিতে পারে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি?
সাম্প্রতি সময়ে খবরের শিরোনামে প্রতিদিনই থাকছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর। কারও বয়স ৬০ কারও আবার ৩০-এর কোঠাতেই হার্ট অ্যাটাকের কারণে প্রাণ দিতে হচ্ছে। মানসিক চাপ হতে অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা। অনেক ক্ষেত্রেই দৈনন্দিন জীবন যাপনের মধ্যেই নিহিত থাকে হৃদরোগের কারণ। অনিয়ন্ত্রিত ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনেক ক্ষেত্রেই ডেকে আনতে পারে হৃদযন্ত্রের সমস্যা। তবে কিছু কিছু অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।
# পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবই হলো হৃদরোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। সে কারণে রাত জেগে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ় না দেখে সময় মতো ঘুমিয়ে পড়াই ভালো। প্রাত্যহিক ক্লান্তির থেকে শরীরকে সতেজ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
# ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড ও বাড়তি ওজনের মতো সমস্যাগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে এই সমস্যাগুলোর জন্য অনেকেই নিজের ইচ্ছে মতো ওষুধ খেয়ে থাকেন। মনে রাখা দরকার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনও ওষুধ খাওয়া কিংবা ওষুধ বন্ধ করা, দুই-ই ডেকে আনতে পারে বড় ধরনের বিপদ। এইসব রোগ থাকলে রোগীরকে বছরে অন্তত এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার।
# অনেকেই আবার সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। তবে অতিরিক্ত কিংবা অনিয়ন্ত্রিত শরীরচর্চার ফলও হিতে বিপরীত হতে পারে। কোভিড কিংবা অন্য কোনও রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার পর শরীরচর্চা শুরু করার আগেই পরামর্শ নিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎকের।
# দ্রুত মেদ ঝরাতে বা পেশিবহুল শরীর তৈরি করতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড কিংবা সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করে থাকেন। এই সব সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই কোনও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। এইগুলোও অল্প বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
# হৃদযন্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই ঠেকানো যেতে পারে হৃদরোগ। তবে বুকে ব্যথা কিংবা শারীরিক অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলোকে গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া নতুন কিছুই নয়। তবে সঠিক সময় ধরা পড়লে অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমে হৃদরোগের। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।