দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিডনিতে পাথর হলে মানবদেহে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তবে লক্ষণ জানা থাকলে কিডনির অসুখ নিয়ে আগাম সচেতন হওয়াসম্ভব।
কিডনিতে পাথর জমেছে কি না, কোন লক্ষণগুলো দেখলে আপনি নিশ্চিত হবেন। বুঝবেন? সাধারণত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা- শরীরের প্রতি অবহেলার প্রভাব পড়ে কিডনির উপরেই। সেই কারণে সাবধানে থাকতে বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না, তা বুঝতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি খাওয়ার পরিমাণ ঠিক রয়েছে কি না, কোমর কিংবা তলপেটে কোনও ব্যথা হচ্ছে কি না, মূত্রত্যাগের সময় জ্বালা-পোড়া করছে কি না- এগুলোর দিকেই মূলত নজর রাখতে বলেছেন চিকিৎসকরা।
সাধারণত কিডনির রোগ সব সময় আগে থেকে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। কোনও সমস্যা হয়ে থাকলেও তা ধরা পড়ে অনেকটা দেরিতে। কিডনিতে পাথর জমেছে কি-না, তা বুঝতে গেলে এটুকু সাবধানতায় যথেষ্ট নয়। কিডনির পাথর কোথায় রয়েছে, কতোগুলো রয়েছে এই সবের উপরেও এই অসুখের লক্ষণ সাধারণভাবে নির্ভর করে। পাথর যদি খুব ছোট আকারের হয়ে থাকে, তাহলে কোনও লক্ষণ নাও বোঝা যেতে পারে। লক্ষণ জানা থাকলে এই অসুখ নিয়ে আগাম সচেতন হওয়া সম্ভবপর হবে।
# চিকিৎসকরা বলেছেন, কিডনিতে পাথর হলে পিঠের দিক এবং পাঁজরের দু’পাশে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথা অল্প হলেও তা অবহেলা করবেন না। প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ব্যথা বেশিদিন ফেলে রাখলে শরীরের অন্দরে জটিলতাও বাড়তে পারে।
# আবার অনেক সময় তলপেটেও ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা বেশ কিছু দিন ধরেই হতে থাকে, তাই সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না কখনও। কিডনিতে পাথর জমার অন্যতম লক্ষণই হলো তলপেটে ব্যথা। ব্যথা কিছুতেই না কমলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ করে নিতে হবে।
# কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময় বা প্রস্রাবের পরবর্তী সময় জ্বালা অনুভব হতে পারে। প্রস্রাবের সময় কোনও রকম কষ্ট অনুভব হলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। তাছাড়ও প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্ত দেখা যায়, তাহলে সেটি আরও বেশি চিন্তার বিষয়। এই লক্ষণগুলো একবার দেখা দিলেই তা কখনও এড়িয়ে যাবেন না।
# কিছু খেলেই বমি বমি ভাব হয়, মাথা ঘোরা থেকে শুরু করে শারীরিক ক্লান্তি ও খিদে না পাওয়াসহ কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। অনেকেই এই উপসর্গগুলোকে গ্যাস ভেবে ভুল করে বসেন। তাই এমন ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেই এড়িয়ে না গিয়ে বরংচ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
# ঘন ঘন জ্বর হওয়াও কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ। জ্বর এসেছে মানেই যে তা ঠাণ্ডা লাগার কারণে হয়েছে, এমন ভেবে নেওয়ার কোনও কারণই নেই। কিডনিতে পাথর হলেও জ্বর হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।