দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোটদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে হাল ধরতে হয় অভিভাবককেই। বাড়িতেই তৈরি করতে হবে এমন কিছু পরিবেশ, যেখানে মন খুলে সব কথা বলতে পারবে শিশুরা।
ছোট্ট শিশু মানেই নরম মাটির মতো। তাকে যেমন আকার দেওয়া যাবে, সে তেমন রূপই নেবে। শারীরিকভাবে শিশুরা কেমন হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে তার বড় হয়ে ওঠা কিংবা খাদ্যাভাসের উপর। তবে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি থাকে তার পরিবারের হাতেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে তার নিজের ভালো লাগা, মন্দ লাগা কিংবা আবেগ, কষ্ট- এই সব অনুভূতির সঙ্গে কীভাবে যুঝতে পারে বা যাতে মানিয়ে চলতে পারবে, তার অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে থাকে ছোটবেলায়।
মনোবিদরা মনে করেন, ছোটদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে প্রাথমিক পর্যায়ে হাল ধরতে হবে অভিভাবকদের। বাড়িতেই তৈরি করতে হবে এমন একটি পরিবেশ, যেখানে মন খুলে কথা বলতে পারবে শিশুরাও। সঙ্গে দিতে হবে জীবনপাঠের নানা বিষয়ও।
ব্যক্তিগত পরিসর ও সম্মান করা
সন্তান ছোট বলে তার সব বিষয়ে অযাচিতভাবে ঢুকে পড়ার অভ্যাস পরবর্তীকালে বড় সমস্যার মুখেও ফেলতে পারে। বড় বয়সে সে কিন্তু এমনিভাবেই অভ্যস্ত হবে। অন্যদের কথার মধ্যে জোর করে ঢুকে পড়ার প্রবণতাও তৈরি হবে। উল্টো দিক থেকে অভিভাবকদের সংযত হতে হবে। শিশুরা ছোট, বুঝতে পারবে না ভেবে তাদের সামনে এমন কোনও কথা কখনও বলবেন না, যা তাদের সামনে বলার কথা নয়।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
শিশুদের মনে সারাক্ষণই নানা প্রশ্নের ভিড় করে থাকে। কোথায় কোন প্রশ্নটি করা উচিত কিংবা কোথায় কোন কথা মোটেও বলা উচিত নয়, সে বিষয়ে তাদের জ্ঞান থাকে না। তাই অনেক অভিভাবকই সন্তানকে ভয় দেখিয়ে রাখেন। যাতে করে তারা লোকসমাজে বেয়াড়া কোনও প্রশ্ন করে মা-বাবাকে বিব্রতকর অবস্থঅয় না ফেলে। তবে এই ভয় থেকেই এক সময় জন্ম নেয় কুণ্ঠাবোধ। যা পরবর্তী সময় শিশুর মত প্রকাশের ক্ষমতাকেও খর্ব করে।
স্বতন্ত্রতা বজায় রাখতে হবে
সাধারণত অনেক কিছু পরিবেশ থেকে গ্রহণ করলেও, নিজের পরিবারের কাঠামো বুঝে নিজস্বতা বজায় রাখার পরামর্শ দিতে হবে। কারণ হলো, প্রতিটি পরিবারের ঐতিহ্যই, রুচিবোধ, ভালো লাগা, মন্দ লাগা আলাদার বিষয় রয়েছে। তাই অন্য কাওকে দেখে প্রভাবিত হওয়ার অভ্যাস ছোট থেকেই শুধরে দিতে হবে। ছোটরা বড়দের দেখেই সব কিছু শিখবে- সেটিই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে অভিভাবক হয়ে নিজে যদি সেই সব অভ্যাসে অভ্যস্ত হন, তাহলে সন্তানকে ঠিক জিনিসটি শেখানো মুশকিল হয়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।