দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই হাঁটুর ব্যথায় হাঁটতে পারেন না, তারা বেশিক্ষণ দাঁড়াতেও পারেন না। নিয়মিত ব্যথার ওষুধ না খেয়ে একটু ব্যায়াম করে দেখুন কাজে আসে কি না।
আমরা সবাই জানি দেহের তুলনায় অনেক সরু, দুটি পা-কেই শরীরের সব ভার বইতে হয়। তাই কমবয়সে তেমন সমস্যা না হলেও বয়স বাড়ার পর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেরই হাঁটুর সমস্যায় ভোগেন। তার জন্য অবশ্য ওজন অনেকটা দায়ি। অনেক সময় ডায়েট করে, ওজন কমিয়ে, নানা রকম চিকিৎসা শেষে যখন একেবারেই কোনও ফল পাওয়া যায় না, হাঁটু প্রতিস্থাপন ছাড়া তখন উপায় থাকে না। তবে সেই চিকিৎসা যেমন খরচসাপেক্ষ, তেমনি কষ্টকর। তাই প্রথম থেকেই যদি নিয়মিত কিছু যোগভ্যাস করতে পারেন, এতে হাঁটুর সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
তাহলে হাঁটুর জোর বাড়াতে কোন ব্যায়াম করবেন?
সমস্থিতি
হাঁটু না ভেঙে একেবারে টান টান হয়ে দাঁড়াতে হবে। দুই পায়ের পাতা কাছাকাছি রাখতে হবে। তারপর চোখ বন্ধ করে, দুই হাত দেহের দুইপাশে প্রসারিত করুন। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এই ব্যায়াম করতে হবে প্রতিদিন অন্তত ৫ বার।
উৎকটাসন
প্রথমেই সমস্থিতির মতোই অবস্থানে দাঁড়ান। এরপর হাঁটু ভেঙে, কোমর সামান্য ঝুঁকিয়ে, তারপর শরীরকে চেয়ারের মতো অবস্থায় রাখুন। এখন দুই হাত মাথার উপর তুলে নমস্কার করার ভঙ্গিতে রাখুন। প্রথমে বেশিক্ষণ না পারলেও ৫ বার করে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
দণ্ডাসন
পা ছড়িয়ে তারপর সোজা হয়ে বসুন। পিঠ যেনো টান টান অবস্থায় থাকে। দেহের দু’পাশে দুই হাত রাখুন। এবার পায়ের পাতা টেনে রাখুন ভেতরের দিকে। এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড থাকতে হবে। এরপর ছেড়ে দিন। এইভাবে প্রথমে ১০ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করতে হবে, পরে ৪০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
পশ্চিমত্তনাসন
প্রথমেই সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। হাঁটু ভাঙলে একেবারেই চলবে না। এখন গভীর শ্বাস নিয়ে কোমরের অস্থিসন্ধি থেকে শরীরটা টেনে সামনের দিকে ঝুঁকতে থাকুন। এখন দু’টি হাত পায়ের পাতার পিছন দিক থেকে ধরে রাখুন। আপনার শরীর যতোটুকু সামনের দিকে আসতে পারে, ঠিক ততোটুকুই আনার চেষ্টা করুন। তবে প্রথম দিনেই বেশি চাপ দেবেন না।
জানুশীর্ষাসন
আপনাকে প্রথমেই সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। এখন একটি পা পাশাপাশি ভাঁজ করে অন্য পায়ের কাছে রাখুন। তারপর একই পদ্ধতিতে গভীর শ্বাস নিয়ে কোমরের অস্থিসন্ধি হতে শরীরটা টেনে সামনের দিকে ঝুঁকতে চেষ্টা করতে হবে। যে পা আপনি সামনের দিকে ছড়িয়ে রেখেছেন, সেই হাঁটুতে এখন মাথা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। একইভাবে দু’পায়েই এটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।