দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আলু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কোন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমাতে প্রতিদিন পাতে রাখবেন আলু? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
মাংসের ঝোল বা মনখারাপে বিরিয়ানি- কোনো কিছুই আলু ছাড়া যেনো রান্নাই বিস্বাদ লাগে। বাচ্চাদের তো বটেই, বড়দেরও পাতে এক টুকরো আলু না পড়লে মনখারাপ হয়। তবে ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকার কারণে অনেকেই আলু খেতেই চান না।
আলু শুধুই যে রসনাতৃপ্তি দেয়, তা নয়। শরীরের যত্ন নিতেও এই সব্জির জুড়ি নেই। আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তবে সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত কম। উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এই সোডিয়াম। তাই হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে ভরসা রাখতে পারেন আলুর উপর। আলুর মধ্যে থাকা ফোলেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
ইদানীং কর্কট রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতার এখনও ঘাটতি রয়েছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। ক্যান্সার বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়াটা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। বেশ কিছু শাকসব্জি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেই তালিকায় অন্যতম হলো আলু। সেই জন্য ডায়াবেটিস বা এই ধরনের কোনও ক্রনিক সমস্যা না থাকলে, প্রতিদিন পাতে আলু রাখার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। মলাশয়ের ক্যান্সার ইদানীং খুব বেশি করেই দেখা যাচ্ছে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সমৃদ্ধ আলু এই মারণরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগ থাকলে প্রতিদিন পাতে রাখতে পারেন আলু। আলুতে কোলেস্টেরল বা স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম- বা নেই বললেই চলে। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়াতে এই দু’টি উপাদানই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও প্রতিদিন পাতে রাখতে পারেন আলু। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।