দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তাদের দেখতে অবিকল একই রকম, আবার নামও একই। অথচ কেও চিনতেন না একে অপরকে। এরা মোটেও জমজ নন- এমনই ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার দুই ক্রীড়াবিদের জীবনে!
দু’জনে পেশাদার বেসবল খেলোয়াড়। দু’জনেরই নাম ব্র্যাডি ফেইল। দু’জন মানুষ, দেখতে অবিকল একই রকম, উচ্চতাও এক, পেশাও এক, এমনকি নামও তাদের এক। অথচ কেও কাওকে চিনতেন না। দু’জনের আলাপ হলো একই শল্যচিকিৎসকের কাছে অস্ত্রোপচার করাতে যাওয়ার পর। তবে এটি কোনও মিস্ট্রি থ্রিলার ছবির গল্প নয়, এমনই ঘটনা বাস্তবে ঘটেছে আমেরিকার দুই ক্রীড়াবিদের জীবনে। দু’জনই পেশাদার বেসবল খেলোয়াড়। দুজনেরই নামই হলো ব্র্যাডি ফেইল। তবে দুই ব্র্যাডির বয়স অবশ্য আলাদা তারিখে। এক জনের বয়স হলো ৩২, অপর জনের বয়স ২৭।
দুই সমনামীর পরিচয় হয় একই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর। দু’জনেই ক্রীড়াবিদ, ২০১৫ সালে দু’জনেই কাঁধে চোট লেগেছিলো। দুই ক্রীড়াবিদই একই জায়গায়, একই অস্ত্রোপচার করাতে যান শল্যচিকিৎসক জেমস অ্যান্ড্রুজের নিকট। দুই ব্র্যাডির চুল এবং গায়ের রংও এক। দু’জনেরই উচ্চতা হলো ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। চিকিৎসক নিজেও ঘাবড়ে যান বিষয়টি দেখে। দ্বিতীয় ব্র্যাডির অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে তিনি ভাবেন একই ব্যক্তির হয়তো দ্বিতীয় বার অস্ত্রোপচার হচ্ছে। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর জানা যায় দু’জনই আলাদা ব্যক্তি। কেও কাওকে কখনও চেনেনও না।
পরিচয় হওয়ার পরই বন্ধুত্ব হয়ে যায় দুই ব্র্যাডির। তবে বার বার একই সমস্যা তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন দু’জনে। তবে পরীক্ষায় দেখা যায় যে, জিনগতভাবে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত নন তারা। তবে পরীক্ষার ফল যা-ই বলুক না কেনো, দুই ব্র্যাডির বন্ধুত্ব এতোই গভীর হয়ে গিয়েছে যে, এখন তারা পরস্পরকে ভাই বলে ধরে নিয়েছেন।
এটি সত্যি যে ব্র্যাডিদের এই ঘটনা বিরল, তবে এমন আরও অন্তত ৩২ জোড়া মানুষ পৃথিবীতে রয়েছেন যারা অবিকল একই রকম দেখতে। তবে তাদের মধ্যে কোনও সম্পর্কই নেই। ২০২২ সালে বিজ্ঞানপত্রিকা ‘সেল’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র সেই তথ্যই দেয়। ঠিক কেনো এমন ঘটনা ঘটে, তবে তা নিয়ে মোটেও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।