দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শারীরিক জটিলতার মতো মানসিক সমস্যা চোখে দেখা যায় না বলে সেটি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না অনেকেই। তাই মানসিক আঘাত বা উদ্বেগ কমাতে যোগচর্চা করুন।
শারীরিক বা মানসিক চাপ এইসব চাপ বাড়তে থাকলে তার প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত জীবনেও। ঘরে-বাইরে বাড়তে থাকা কাজের চাপ, উদ্বেগজনিত সমস্যা নতুন কিছু নয়। কর্মক্ষেত্র, পড়াশোনা বা ঘর সামলানোর দায়িত্বে থাকা গৃহবধূ, মানসিক টানাপড়েনের মধ্যেদিয়ে যেতে হয় কমবেশি সকলকে। কারও জীবনে আবার থাকে ব্যক্তিগত ঘাত-প্রতিঘাতের ইতিহাসও। এই সব কিছুর প্রভাব পড়ে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে। শারীরিক অন্যান্য জটিলতার মতো মানসিক সমস্যা চোখে দেখা যায় না বলে সেটি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না অনেকেই। তবে এই চাপ বাড়তে থাকলে এর প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত জীবনে। বাড়তে থাকে অনিদ্রাজনিত নানা সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রথমে ওষুধ নয়, ভরসা রাখতে পারেন যোগাসনে।
প্রতিদিন কোন কোন যোগাভ্যাস করলে বশে থাকবে আপনার মানসিক উদ্বেগ?
পশ্চিমোত্তনাসন
প্রথমে মাটিতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ুন। তারপর কোমর থেকে সামনের দিকে ঝুঁকে, তারপর মাথা হাঁটুতে ঠেকানোর চেষ্টা করুন। এখন দু’হাত দিয়ে পায়ের পাতা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই যোগাভ্যাসে গোটা শরীরের স্নায়ুতন্ত্রই সচল থাকে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পায়।
ধনুরাসন
প্রথমেই মেঝেতে উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। এখন কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটি থেকে উপরের দিকে তুলে ধরার চেষ্টা করুন। তারপর দু’টি হাত উল্টো দিকে ঘুরিয়ে, পা দু’টিকে এমনভাবে ধরার চেষ্টা করুন, দেখতে যেনো ধনুকের মতোই লাগে।
প্রাণায়াম
সাধারণত শ্বাস-প্রশ্বাসের এই ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছায়। এই পদ্ধতিতে শরীর থেকে যথেষ্ট পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দিতে পারলে উদ্বেগজনিত সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অনুলোম-বিলোম
এক দিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নেওয়া ও উল্টো দিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস ত্যাগ করার ব্যায়ামই হলো অনুলোম-বিলোম। প্রথমে ৫ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করার পর ২৪ সেকেন্ড ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
ভ্রামরী
ভ্রামরী অর্থাৎ সুখাসনে বসে, গভীরভাবে শ্বাস নিতে শুরু করুন। দু’আঙুল দিয়ে কানের রন্ধ্র চেপে রাখতে হবে। এখন চোখ বন্ধ করে ইংরেজি স্বরবর্ণ ‘এ’, ‘ই’ ‘ও’ ইত্যাদি উচ্চারণ করতে থাকুন। এই ভাবে প্রত্যেকটি বর্ণ ৫ বার করে বলা অভ্যাস করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।