দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোনো সমস্যা যখন সামনে আসে তখন টজলদিতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো হাতের কাছে এমন অনেক জিনিস থাকে, অনেকেরই হয়তো জানা নেই কোন জিনিস কখন কাজে লাগে।
অনেক সময় ফেলে দেওয়া কলার খোসা ঘষেও জুতো হয়ে উঠতে পারে চকচকে নতুনের মতোই। কাজের সময় হাতের কাছে জিনিস না পাওয়া কিংবা ঠিক যে জিনিসটি আপনি খুঁজছেন সেটি শেষ হয়ে যাওয়া, এমন ঘটনা ঘটতে থাকে অনেক সময়। তবে সব সময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো জিনিসও হাতের কাছে থাকে না। এই যেমন অফিসে যাওয়ার আগে হঠাৎ যদি দেখেন জুতো পালিশের ক্রিমটি ফুরিয়ে গেছে, তখন মাথা গরম হয়? তবে কাজ চালানোর জন্য মুখে মাখার ক্রিমটি লাগিয়ে পালিশ করবেন, তেমনটি কিন্তু হবে না। আবার যেমন ধরুন প্যান্ট পরার পর, তার চেন আটকাতে পারছেন না অর্থাৎ আটকে গেছে। এমন সমস্যার চটজলদি সমাধান রয়েছে আপনার হাতের কাছেই। শুধু অনেকের হয়তো সেই বিষয়টি জানা নেই যে কোন জিনিস কোন কাজে লাগে।
কী কী দিয়ে কোন কোন কাজ চটজলদি করে ফেলা যাবে
জুতো পালিশ
তাড়াহুড়ো করে অফিসে বেরোনোর পূর্বে, জুতো পরতে গিয়ে আপনি দেখলেন পালিশ করার প্রয়োজন। তবে বাড়িতে এতোটুকু জুতো পালিশের ক্রিম কিংবা রং কিছুই নেই। তাহরে সকালে নাস্তার সঙ্গে কলা খেয়েছেন, তার খোসা পড়ে আছে। তবে ভাবছেন তো কলার খোসা দিয়ে কী হতে পারে? চামড়ার বুট জুতোর গায়ে কলার খোসার ভিতরের অংশটি ঘষে নিলে তা হয়ে উঠবে একেবারে নতুনের মতোই।
ঘরোয়া ‘আফটার সেভ’
সেলুনে গিয়ে দাড়ি কাটার বিষয়টিকে অনেকেই বিলাসিতা মনে করে থাকেন। তাই তারা বাড়িতেই দাড়ি কাটতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। দাড়ি যখন বাড়িতে কাটবেন, তখন দাড়ি কাটার পর মুখে যে ‘আফটার সেভ’ মাখেন সেটিও বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারেন অনায়াসে। কীভাবে করবেন? আধা কাপ শসার রসের মধ্যে ৪ টেবিল চামচ পুদিনা পাতার রস ও আধা কাপ পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ওভেনে ১ মিনিট মতো গরম হতে দিন। ঘরের তাপমাত্রায় এলে কাচের পাত্রে ঢেলে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিতে হবে।
প্যান্টের আটকে যাওয়া চেন মেরামত করবেন যেভাবে
ওজন ঝরিয়ে রোগা হয়েছেন ভেবে সেই আনন্দে বহুদিনের পুরনো একটি প্যান্ট টেনে বের করেছেন। তবে পরতে গিয়ে আপনার মাথায় হাত! কোমরে হচ্ছে তবে চেন আটকানো যাচ্ছে না কোনও মতেই। বাড়িতে সাবান নিশ্চয়ই রয়েছে? ওই সাবানের টুকরো ভালো করে ঘষে নিন চেনের গায়ে। এরপর চেন টেনে দেখবেন সহজেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।