দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের জন্য কাশি একটা বড় সমস্যা। বিশেষ করে, কোভিডকালের পর থেকে মানুষের শুষ্ক কাশি বেশি হতে দেখা যাচ্ছে। তবে কাশি হলেই ওষুধ খাওয়া নয়। কাফ সিরাপও বন্ধ। বরং ঘরোয়া টোটকায় কমিয়ে ফেলতে পারেন এই কাশি।
একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, ছোটদের কাশি দূর করার ক্ষেত্রে ভিষণ কার্যকরী এই খাদ্যটি। কাশি মানুষের হতে পারে। আবার এর পিছনে হাজার কারণও থাকতে পারে। অ্যালার্জি হতে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের দাপটে মানুষও এই অসুখে ভুগতে থাকেন। সাধারণত ২ থেকে ৫ দিনেই কাশি সেরে যায়। তবে অনেকের শুষ্ক কাশি চলতে থাকে। এবার বিশেষজ্ঞদের একাংশের মনে করেন, শুষ্ক কাশির ক্ষেত্রে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করলেও সুস্থ থাকা যায়।
মধু
এক বছরের বেশি বয়সি যে কোনও ব্যক্তিই খেতে পারেন মধু। কারণ মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, ছোটদের কাশি দূর করার ক্ষেত্রে ভিষণ কার্যকরী এই খাদ্যটি। তবে বড়রাও খেতে পারেন এই মধু। এবার দিনে কয়েকবার এক চামচ করে মধু খান। চাইলে চা বা গরম পানিতে মিশিয়েও খেতে পারেন।
হলুদ
হলুদ ভালো একটি খাবার। এই খাবারটিতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিভাইরাল গুণ। এমনকী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধেও লড়াই করতে পারে এই খাদ্যটি। তাই চেষ্টা করুন এটি নিয়মিত খাওয়ার জন্য। দেখা গেছে, আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন দূর করার কাজে ভিষণ সিদ্ধহস্ত হলো এই হলুদ। তাই হলুদ কাঁচা খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আদা
আপনি চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার আদা কুঁচিও মুখে রাখতে পারেন। দেখবেন কিছু সময়ের মধ্যেই কাশি কমে গেছে। এই খাবারে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরিসহ নানা উপাদান রয়েছে। সে কারণে কাশি কমে যাবে। তাই এই মশলা আপনাকে হাতের কাছে রাখতে হবে।
মশলাদার চা
মশলা চা পান করার প্রচলন এখন বেড়েছে। এই চায়ে থাকে তুলসী থেকে শুরু করে লবঙ্গ, দারচিনি ও আদা। এবার এই চা শুষ্ক কাশি দূর করে দিতে সক্ষম। তাই কাশি হলে আপনি অবশ্যই এই চা নিয়মিত পান করুন।
তবে এই কাশি দীর্ঘদিন ধরে চললে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।