দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেসব ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ কিংবা রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি কিংবা যাদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তাদের এমনিতেই হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে বেশি। কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে যে কোনও বয়সেই আক্রান্ত হতে পারেন হৃদরোগে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়াটা জরুরি। তবে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, অত্যধিক ব্যস্ততার মধ্যে থাক এবং মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। সেইসঙ্গে প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, বাইরের তেল-মশলাদার খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাসও ত্যাগ করতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক যে কোনও বয়সেই, যে কোনও সময়ই হতে পারে। অনেকেই মনে করেন, ছেলেদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা অনেক বেশি। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রেও রয়েছে ঝুঁকি। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কোন কোন লক্ষণে ধরা যাবে?
# বেশ কিছু দিন ধরেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও থাকতে পারে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, দম আটকে আসলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এমন হলে অযথা ফেলে রাখবেন না। হৃদযন্ত্রের কোনও রকম সমস্যা হলে, ফুসফুসও তখন অক্সিজেন কম পায়। তাই এই লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
# কোনও কারণ ছাড়াই শরীরে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হচ্ছে? একটুতেই কী হাঁপিয়ে যাচ্ছেন? তা হলেও দুশ্চিন্তার কারণও রয়েছে। শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক না হলে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক করে অক্সিজেনই পায় না। তাতে হাঁপও ধরতে পারে।
# যদি মাঝরাতে হঠাৎই ঘুম ভেঙে দেখেন আপনি দরদর করে ঘামছেন, তাহলে উপেক্ষা করবেন না। এটিও হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে।
# বুকে ব্যথা কিংবা চাপ লাগার মতো অনুভূতি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানান।
# মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ একেবারেই ভিন্ন। বুকে ব্যথা, ঘাম হওয়া কিংবা হাঁপ ধরা ছাড়াও পেটে অস্বস্তি, পিঠে ব্যথার মতো কিছু অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
# হঠাৎ করেই জোরে নাক ডাকতে শুরু করেছেন? রাতে শোয়ার পরই নাক বন্ধ হয়ে আসছে? গলাও শুকিয়ে আসছে? এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ হতে পারে। শরীরে স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগ বাসা বাঁধলে সতর্ক হতে হবে, এই রোগের হাত ধরে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
# হৃদযন্ত্র ঠিকভাবে কাজ করতে না পারলে, কিডনির উপরে এর প্রভাব পড়ে। যে কারণে শরীর থেকে পানি এবং সোডিয়াম ঠিক মতো বেরোতেই পারে না। যে কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পানি জমতে শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে হাত-পায়ের পাতা, গোড়ালিও ফুলতে শুরু করে। এই লক্ষণ দেখলেও সতর্ক হতে হবে অর্থাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।