দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সমীক্ষা বলছে যে, প্রতি ৫ জনের মধ্যে এক জন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার মতো বিভিন্ন কারণে এই রোগ হচ্ছে। কোন ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে?
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে দেখা দেয় নানা রকম শারীরিক সমস্যা। বার্ধক্যের কারণে এমনিতেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। যে কারণে রোগের সঙ্গে লড়াই করা খুব সহজ নয়। এই সুযোগে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে কোলেস্টেরল। ২০১৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রতি ৫ জন মানুষের মধ্যে এক জন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার মতো বিভিন্ন কারণেই এই রোগ হচ্ছে।
কোলেস্টেরল অবহেলা করা একেবারেই বোকামি। চেষ্টা করতে হবে কোলেস্টেরল যাতে আপনার শরীরে কোনোভাবেই হানা না দেয়। তা সত্ত্বেও যদি কোলেস্টেরল ধরা পড়েই, তাহলে আপনাকে সাবধানে চলতে হবে। কারণ হলো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না রাখলে আরও অনেক শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। হতে পারে হৃদরোগের মতো কঠিন রোগ। তাই কোলেস্টেরল হাতের মুঠোয় রাখাটা জরুরি।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব সহজ নয়। দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর নিয়ম মেনে চলাটা খুবই জরুরি। তা না হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা চড় চড় করে বাড়তে থাকবে। খাদ্যতালিকা থেকে যেমন অনেক খাবার বাদ দিতে হয়, তেমনি রাখতেও হবে বেশ কিছু। যারমধ্যে অন্যতম হলো পেয়ারা।
শরীর সুস্থ রাখতে হলে এই পেয়ারার উপর ভরসা রাখতে পারেন। পেয়ারার স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা কোলেস্টেরল আটকানোর জন্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ফাইবারে ভরা পেয়ারা কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখবে। সেইসঙ্গে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে এর জুড়ি নেই।
একটি গবেষণা বলছে, কোলেস্টেরলে আক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত পেয়ারা খেতে পারেন। এতে পাবেন উপকার। পেয়ারায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরে জমে থাকা নানা রকম দূষিত পদার্থ বাইরে বের করে দেয়। তাই কোলেস্টেরল থাকলে শুধু অনেক রকম ওষুধ না খেয়ে বরং ভরসা রাখতে পারেন এই পেয়ারার উপর। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English