দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কৃত্রিম, রাসায়নিক নির্ভর এই ড্রপগুলো ব্যবহার করলে আদতেও চোখের ক্ষতি হতে পারে।
আমরা সবাই জানি চোখ শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। এক সময় ছিল যখন বয়স ৪০ পেরোলেই চোখের নানা সমস্যা সামনে উঠে আসতো। তবে এখন কিন্তু বয়স দেখে চোখে রোগ আসে না। আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে কম বয়সেও চোখ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় অনেককেই। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবে চোখ বিশ্রাম পায় না। যতো ক্ষণই আপনি জেগে থাকেন, চাপ কিন্তু পড়ে এই চোখের উপরেই। অফিসে ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ কাজ হোক বা বাড়ি ফিরে মোবাইল ফোনে সিনেমা কিংবা সিরিজ় দেখায় হোক না কেনা। প্রতিদিনের কাজ সামলে চোখের যত্ন নেওয়া খুব কঠিন কাজ কিন্তু নয়। সাধারণ কিছু অভ্যাস থেকে বিরত থাকলেই চোখের বেশ কিছু সমস্যা এড়িয়ে চলা যাবে।
চোখ ভালো রাখতে ও সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তাহলে কী করবেন?
গরম পানিতে চোখ ধোয়া
যতোই ঠাণ্ডা পড়ুক গরম পানিতে কখনও চোখ ধোয়া যাবে না। গরম পানি ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতি হবে। শুধু গরম পানিই নয়, আগুনের আঁচ, ধোঁয়া কিংবা সূর্যের প্রখর তাপ- এই সবকিছুর থেকেই চোখ দুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে আপনাকে।
চোখের পলক না ফেলা
চোখের খুব সামনে কিছু চলে এলেই নিজে থেকে চোখের পলক পড়ে যায়- সেটিই স্বাভাবিক। তবে টেলিভিশনে রোমহর্ষক কোনও দৃশ্য একটানা চলতে থাকলে চোখের পলক পড়তে চায় না। চোখের পলক না ফেলার এই অভ্যাস চোখের জন্য মোটেও ভালো নয়।
অতিরিক্ত আইড্রপ ব্যবহার
অনেকেই মনে করেন যে, বারে বারে আইড্রপ ব্যবহার করলে বোধ হয় চোখ ভালো থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কৃত্রিম, রাসায়নিক নির্ভর এই ড্রপগুলো ব্যবহার করলেও চোখের ক্ষতি হতে পারে।
ঘুমোনোর সময় মাস্ক ব্যবহার
চোখের চারপাশের অংশে বলিরেখা পড়ে খুবই তাড়াতাড়ি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই শুতে যাওয়ার পূর্বে চোখের তলায় মাস্ক লাগান। রাসায়নিক দেওয়া গরম মাস্কগুলো বলিরেখার সমস্যা সাময়িকভাবে দূর করতে পারলেও চোখের ক্ষতি হতে পারে।
চোখ কচলানো
নিজের অজান্তেই চোখে হাত দেওয়া কিংবা চোখ কচলানোর অভ্যাস রয়েছে অনেকের মধ্যে। তবে সেই হাত যদি পরিষ্কার না হয়, সেই ক্ষেত্রে হাতে লাগা ধুলো বালি-জীবাণু সরাসরি চোখে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এক চোখ থেকে অন্য চোখেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে না। তাই এই বিষয়ে সাবধান হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।