দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাঁতার কাটলে কত উপকার হয় আমরা কখনও চিন্তাও করতে পারিনা। সাঁতার স্বাস্থ্যের জন্য বড়ই উপকারী।
আমরা আজকাল শহর কেন্দ্রীক হয়ে গেছি। যে কারণে এখন আর সাঁতার কাটার কথা চিন্তাও করতে পারিনা। কিন্তু এই সাঁতার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বড়ই উপকার করে থাকে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় সাঁতার কাটলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো স্বাভাবিক হয়। যারা গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে তাদের অবশ্য এই সুবিধাটি রয়েছে অবাধ। কিন্তু যারা শহরে বসবাস করেন তাদের জন্য এটি বেশ ব্যয়বহুল বলতে হবে। তারপরও ইচ্ছে করলে শহরের মানুষও এই সুযোগ পেতে পারেন।
নিয়মিত সাঁতার কাটলে ফুসফুস ও হূদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন সাঁতারুর অকালমৃত্যুর আশঙ্কা কর্মহীন ব্যক্তির অর্ধেক। সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টাও যদি কেউ নিয়মিত সাঁতার কাটেন তবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হূদেরাগ ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি অসংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।বর্তমানে শহরে সাঁতার জানা মানুষই এখন কম। কিন্তু সাঁতারের আছে নানা স্বাস্থ্যসুফল।সাঁতার কাটতে গেলে শরীরের প্রায় সব কটি সন্ধি ও মাংসপেশির সুষম ব্যবহার হয়। এটি পেশির দক্ষতা ও শক্তি বাড়ায়, সন্ধি ও লিগামেন্টের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। আর্থ্রাইটিস ও স্পনডালাইটিসের রোগীদের জন্য সাঁতার একটি কার্যকর ব্যায়াম। বিশেষ করে অ্যাংকাইলোজিং স্পনডাইলাইটিস নামের মেরুদণ্ডের সমস্যা উত্তরণে সাঁতার রীতিমতো উল্লেখযোগ্য চিকিৎসাব্যবস্থা। যারা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না, তাঁদের জন্য সাঁতার একটি বিকল্প ব্যবস্থা। সাঁতার ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বা শক্তি বাড়ায়। এটি প্রমাণিত যে ছয় সপ্তাহ নিয়মিত সাঁতার কাটলে যে কারও ফুসফুসের আয়তন ও বাতাস ধরা-ছাড়ার দক্ষতা দুটোই বাড়ে। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস রোগীদের জন্য এটি সুখবর। ছয় সপ্তাহ নিয়মিত সাঁতার ক্লাসের পর শিশুদের হাঁপানির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়, মুখে শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা ও ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার অভ্যাসও যায় কমে। l
১. দৈনিক ২০-৩০ মিনিট সাঁতার আপনার ভবিষ্যৎ হূদেরাগের ঝুঁকি ৩০-৪০ শতাংশ কমিয়ে দেবে। কমাবে উচ্চ রক্তচাপও। একই সঙ্গে কমাবে ক্ষতিকর চর্বি ও কোলেস্টেরল, কিন্তু বাড়াবে উপকারী চর্বি।
২. সপ্তাহে তিন দিন ৩০ মিনিট করে ব্রেস্ট স্ট্রোক সাঁতারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ শতাংশ কমবে।
৩. সাঁতারে ওজন কমে। প্রতি ১০ মিনিট ব্রেস্ট স্ট্রোক-৬০ ক্যালরি, ব্যাক স্ট্রোক-৮০ ক্যালরি, ফ্রিস্টাইল ১০০ ক্যালরি ও বাটারফ্লাই স্ট্রোক খরচ করে ১৫০ ক্যালরি।
৪. মস্তিষ্কের হিপোক্যামপাস এলাকার স্নায়ু উজ্জীবিত হয়। ফলে মানসিক চাপ কমে। মন-মেজাজ ভালো হয়, বিষণ্নতা কমে।
সূত্র: অনলাইন
This post was last modified on জুন ১৩, ২০২২ 11:58 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেঁপেতে উপস্থিত ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পরিপাকে বিশেষ সহায়ক।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি নতুন ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি হয়েছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা’র তুমুল জনপ্রিয়তার পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘পুষ্পা-২’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…