দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চর্বি কম এমন খাবার, ফলমূল, শাকসব্জি বেশি করে খাওয়াটা জরুরি। তবে কয়েকটি খাবার রক্তচাপের মাত্রা হাতের মুঠোয় রাখতে সাহায্য করতে পারে। আজ রয়েছে সেইসব খাবার সম্পর্কে আলোচনা।
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, ব্যস্ততা, ঘন ঘন বাইরের খাবার খাওয়া- এমন কিছু কারণে মানুষের জীবনে হানা দিচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা। এক সমীক্ষা বলছে, গোটা বিশ্বে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। সব সময় ভিতরের বিপদ বাইরে থেকে আঁচ করাও যায় না। উচ্চ রক্তচাপের বিষয়টি আসলে এমনই। যে কারণে ঘনিয়ে আসে হৃদরোগ বা স্ট্রোক। চিকিৎসকরা মনে করেন যে, এই আকস্মিক বিপদের মূলেই রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে রক্তচাপের মাত্রা। একটা বয়সের পর থেকে শরীরের সব কলকব্জা কেমন যেনো কমজোরি হয়ে পড়ে। রক্তবাহী নালিগুলোও এই তালিকার মধ্যেই পড়ে। তাই বার্ধক্যে রক্তচাপের মাত্রা একটু বেশির দিকে থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া জরুরি। সেইসঙ্গে প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়াতেও আনতে হবে কিছু বদল। কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে, ফলমূল, শাকসব্জি বেশি করে খাওয়াটা জরুরি।
বিটের রস
বিটের মতো উপকারী সব্জি খুব কমই রয়েছে। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন পাতে রাখতে পারেন বিট। ধমনী শিথিল রেখে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এই বিটের রস। প্রতিদিন ২৫০ মিলি বিটের রস পান করলে উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা অনেকটা কম থাকে।
কলা
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
পেঁয়াজ
প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সমৃদ্ধ পেঁয়াজ রক্তনালি প্রসারিত করতে সাহায্য করে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। সেইসঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ ছাড়াও, পেঁয়াজে রয়েছে কোয়ারসেটিন, যা রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।