দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উচ্চ রক্তচাপ, ফ্যাটি লিভারের মতো জটিল রোগগুলো বশে রাখতে এতোদিন ধরে ওষুধ খেয়ে আসছেন, তার থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে সাধারণ ব্যায়াম।
একটি বিষয় হলো, মন ভালো রাখতে শুধু ঘরে বসে ব্যায়ামই নয়, বাইরে খোলা জায়গাতে করতে হবে শরীরচর্চা।কারণ নিয়মিত শরীরচর্চা করলে তার প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যের উপর। তবে নানা ব্যস্ততার মধ্যেও এই রুটিন মেনে ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না অনেককের। অথচ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, ঘরে-বাইরে উদ্বেগ ও ব্যক্তিগত সমস্যা ঠেকাতে গিয়ে শরীরে বাসা বাঁধছে পারে জটিল নানা রোগ। সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, টানা আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করলে জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশ অনুযায়ী, ১৬ হতে ৬০ বছর বয়সিদের শারীরিক বিশেষ জটিলতা না থাকলে সপ্তাহে ৩০০ মিনিট পর্যন্ত শরীরচর্চা করা যাবে অনায়াসে।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায়
সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে, অর্থাৎ ১৫০ মিনিট ব্রিস্ক ওয়াক কমিয়ে ফেলতে পারে এই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। ‘পেন স্টেট কলেজ অফ মেডিসিন’-এর গবেষকদের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এইসব তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে যে ‘নন-অ্যালকোহলিক’ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই ব্যায়াম বিশেষভাবে কার্যকর।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে
সপ্তাহে ৫ দিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন আরও ভালো হয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ১৫০ মিনিট অর্থাৎ, ৩০ মিনিট করে ৫ দিন টানা শরীরচর্চা করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।
উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে
উদ্বেগ ও অবসাদের মতো নেতিবাচক বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতেও সাহায্য করে বিশেষ এই রুটিনটি। মন ভালো রাখতে শুধু ঘরে বসে ব্যায়ামই নয়, বাইরে খোলা জায়গায় আপনাকে অন্ততপক্ষে ২০ হতে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে।
সপ্তাহে ১৫০ মিনিট কোন কোন ব্যায়াম এবং কী ভাবে করবেন?
তবে এই রুটিন মেনে নিয়মিত ব্যায়াম করতে না পারলেও, নিজেদের সময় ও সুযোগ অনুযায়ী গোটা সপ্তাহকে ভাগ করে নিতে পারেন। সাধারণ ব্যায়াম, হাঁটা, দৌড়ের সঙ্গে সঙ্গে সাঁতারের মতো শরীরচর্চাও যোগ করতে পারেন এই রুটিন অনুযায়ী। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।