দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সি কেশা নামে এক মহিলার টয়লেট পেপার খাওয়ার প্রতি আসক্তির কথা প্রকাশ্যে উঠে আসায় হতভম্ব নেট দুনিয়া! একটি অনুষ্ঠানে এসে নিজের এমন অদ্ভুত অভ্যাসের কথা তুলে ধরেন তিনি।
অদ্ভুত নানা খাবার খাওয়া নিয়ে আগেও অনেক শোরগোল হয়েছে। তেলে চুপচুপে আলুভাজার সঙ্গে চকোলেট আইসক্রিম মেখে খাওয়া থেকে শুরু করে ম্যাগির সঙ্গে নরম পানীয়সহ এমন বিদঘুটে খাবার খেয়ে শিরোনামে উঠে এসেছেন অনেকেই। তাই বলে শেষ পর্যন্ত টয়লেট পেপার!
৩৫ বছর বয়সি কেশা নামে ওই মহিলার টয়লেট পেপার খাওয়ার প্রতি আসক্তির কথা প্রকাশ করেছেন সম্প্রতি। একটি অনুষ্ঠানে এসে নিজের এমন অদ্ভুত অভ্যাসের কথা জানান তিনি। দিনে কমপক্ষে ৭৫টি ‘টয়লেট পেপার’ খান, সে কথাও বলেছেন তিনি।
তবে খাওয়া-দাওয়ার এমন অদ্ভুত অভ্যাসের নেপথ্যে রয়েছে এক ধরনের শারীরিক সমস্যা। কেশা ২৩ বছর ধরে ‘জাইলোফ্যাজিয়া’ নামক এক ‘ইটিং ডিজ়অর্ডার’-রোগের সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগে মূলত বিভিন্ন ধরনের কাগজ খাওয়ার প্রতি আসক্তি জন্মায়। খাতা, বইয়ের পাতাও ছিঁড়ে খেয়ে ফেলেন অনেকেই। তবে কেশার ক্ষেত্রে টয়লেট পেপারের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে। ছোট থেকেই কেশা এই কাগজ খেয়ে অভ্যস্ত। তিনি শৌচালয় থেকে বেরোলেই টয়লেট পেপার হয়ে শেষ হয়ে যেতো। বাড়ির অন্যরা বুঝতেই পারতেন না যে, একটা গোটা টয়লেট পেপারের বান্ডিল একজনের পক্ষে কীভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। কিছুদিন নজরে নজরে রাখার পরই আসল সত্যিটা জানতে পারেন সকলেই। শৌচালয়ে বসে টয়লেট পেপারগুলো খেয়ে ফেলতেন কেশা!
শৌচালয়ের কাজে ব্যবহৃত এই কাগজ খাওয়ার বিরুপ প্রভাব পড়ে তার শরীরেও। পেটে অসম্ভব ব্যথাও হয়। কখনও কখনও অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে মলত্যাগ করতেও সমস্যা হতো। তা সত্ত্বেও এক দিন এই টয়লেট পেপার না খেয়ে থাকতেই পারেন না তিনি। কেও টয়লেট পেপার কেড়ে নিলে কেশা অত্যন্ত বিরক্তও হতেন। কয়েক বছর পর এই সমস্যাটি নিয়ে একজন মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে যান কেশা। এরপরও জানতে পারেন, তিনি বিপদসীমার একেবারে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
রাসায়নিক নানা উপাদান দিয়ে তৈরি এই টয়লেট পেপার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অন্ত্রে সংক্রমণও হতে পারে। সেখান থেকে প্রাণসংশয়েরও ঝুঁকিও রয়েছে। তবে এতোদিনের অভ্যাস রাতারাতি বন্ধ করাও সম্ভব নয়। তাই চিকিৎসকরা কেশাকে শুকনো টয়লেট পেপার খাওয়ার পরিবর্তে ভেজা টিস্যু খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ ভেজা যে কোনও কিছু সহজপাচ্য ও শরীর আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে। তাতে বিপদের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কম হবে। এভাবেই তার নেশা কাটানোর কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।