দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ার পরও যদি ব্যথা না কমে, তাহলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি যোগাসনের উপর।
অনেকেই মাইগ্রেনের সমস্যা নিয়ে ভোগেন। দৈনন্দিন জীবনে মাইগ্রেনের ব্যথায় কাবু হওয়া নতুন বিষয় নয়। অফিসে কাজের মধ্যে, কোনো অনুষ্ঠানে বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডায়, যখন-তখন হাজির হয় এই মাইগ্রেনের ব্যথা। সেই সঙ্গে বমি বমি ভাবও হয়, মাথা ঘোরার মতো শারীরিক সমস্যা তো আছেই। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা শুরু হলে সহজে তা যেতেই চায় না। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেনের ওষুধও খাচ্ছেন। তবুও নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি যোগাসনের উপর। আজ জেনে নিন সেই যোগাসন সম্পর্কে।
বজ্রাসন
এই আসনটি করতে হলে আপনাকে প্রথমেই সোজা হয়ে বসতে হবে। তারপর সামনের দিকে পা ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন একটি করে পায়ে হাঁটু মুড়ে তার উপর বসুন। আর গোড়ালি জোড়া করে রাখুন। শিরদাঁড়া সোজা করে বসতে হবে। হাত দুটো উরুর উপর টানটান করে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসে থাকুন। প্রতিদিন নিয়ম করে এই আসন করলে আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শশাঙ্গাসন
প্রথমেই হাঁটু গেড়ে বসুন। এরপর মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে চেষ্টা করুন কপাল দিয়ে হাঁটু ছুঁয়ার জন্য। এখন হাত দিয়ে দু’পায়ের গোড়ালি ধরুন। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে থাকুন। এরপর ধীরে ধীরে মাথার তালু মাটিতে ছুঁইয়ে ১০ বার গুণে তারপর ছেড়ে দিন। প্রথমেই এতোখানি না পারলে অভ্যাস করতে থাকলে ধীরে ধীরে হয়ে যাবে। তবে নিয়মিতভাবে এটি করতে হবে আপনাকে।
উষ্ট্রাসন
প্রথমেই হাঁটু গেড়ে বসুন। পিছনের দিকে খানিকটা হেলে হাত দু’টি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরতে হবে। তারপর মাথা পিছনের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে পেটের অংশটা সামনের দিকে এগিয়ে দিতে হবে। ডান হাতের বুড়ো আঙুলটি ডান দিকের গোড়ালির ভিতর দিকে রেখে বাকি সব আঙুল বাইরের দিকে রাখতে হবে। বাঁ দিকের ক্ষেত্রেও একইভাবে রাখতে হবে। তবে পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন। স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে শবাসন করে শুরুর অবস্থায় আবার ফিরে যান। মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে নিয়ম করে এই আসনটি করতে পারলে ভালো ফল পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।