দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাদের শখই থাকে আইফোন ব্যবহার করার। তেমনই এক ১২ বছর বয়সী কিশোরী বিয়াঙ্কা জেমি ওয়ারিয়াভা রুটি বিক্রি করে শখের আইফোন কিনলো!
ওই কিশোরীরও সাধ জেগেছিলো পছন্দের ফোন কেনার। তবে আর্থিক সামর্থ্য না থাকার কারণে তার আবদার রাখতে পারেননি বাবা-মা। তাই বলে তো আর দমে যাওয়ার পাত্র নয় বিয়াঙ্কা। আইফোন ১৪ সিরিজের একটি ফোন কিনতে সে যা করেছে, তা শুনলে আপনিও অবাক হবেন!
সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত বিয়াঙ্কা তার মা-বাবার সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে থাকেন। আইফোন কেনার টাকা জোগাড় করার জন্য সে তার সহপাঠী এবং শিক্ষকদের কাছে নিজের হাতে তৈরি রুটি বিক্রি শুরু করে। প্রায় ৬ সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ জমিয়ে তা দিয়ে কিনেছেন শখের আইফোন ১৪!
এই বিষয়ে খালিজ টাইমসকে বিয়াঙ্কা জানায়, তার শখ ছিলো আইফোন ১৪ কেনার। সে জন্য প্রয়োজন ছিলো প্রায় ৩ হাজার দিরহামের (১ দিরহাম সমান বাংলাদেশী ২৮ টাকা ৬০ পয়সা)। তবে এতো অর্থ দেওয়ার সামর্থ্য ছিলো না তার বাবা-মায়ের।
বিয়াঙ্কা আরও জানিয়েছেন, স্কুলে নাস্তার জন্য তার মা ঘরে তৈরি রুটিই দিতো। সে ওই রুটি বন্ধুদের মধ্যে ভাগাভাগি করেই খেতো। তারা ওই রুটি খুব পছন্দ করতো। তার আইফোন কেনার শখের কথা শুনে এক বন্ধু তাকে রুটি বিক্রির বুদ্ধি দেন। ঘটনাটি গত ফেব্রুয়ারির দিকের ঘটনা। তারপর সে হাতে তৈরি রুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বিয়াঙ্কা জানিয়েছে, তার মা-বাবা একসময় পাঁচ তারকা হোটেলে কাজ করতেন। তারা বেকারি পণ্য তৈরিতে দক্ষ ছিলেন। তার রুটি বিক্রির চিন্তাটি তারাও সমর্থন করেন। সেজন্য কাঁচামাল কিনতে বিয়াঙ্কার বাবা তাকে ১০০ দিরহাম দিয়েছিলেন। তার ফিলিপিনো মা জেমিনি ওয়ারিয়াভা শিখিয়ে দেন মজাদার খাবার বানানোর কৌশল।
বিয়াঙ্কা বিদ্যালয়ে প্রথম দিন ১০ দিরহাম করে ৪টি রুটি বিক্রি করতে পারেন। তবে পরদিন থেকে দিনে গড়ে তার এই বিক্রি গিয়ে পৌঁছায় ৬০টিতে। এতে চলতি মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে তার প্রায় ৩ হাজার দিরহাম আয় হয়ে যায়। যা দিয়ে ইতিমধ্যেই সে তার শখের আইফোন ১৪ কিনে ফেলেছেন। এখন তার পরবর্তী লক্ষ্য হলো নিজের নামে একটি বেকারি এবং কফির দোকান চালু করা।
বিয়াঙ্কার এই কর্মকাণ্ডে গর্বিত হয়েছেন মা জেমিনি। তিনি বলেছেন, বিয়াঙ্কার গল্প তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। কোনো কাজই যে ছোট নয় এবং ইচ্ছে থাকলে যে কোনো কিছুই সাধন করা যায় সেই প্রমাণ করেছেন কিশোরী বিয়াঙ্কা। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।