দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলো দেখলে আমরা বিস্মিত হই। এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। সেখানে একজন মা দীর্ঘদিন ধরে পুরুষ সেজে মেয়েকে বড় করে তুলছেন! দীর্ঘদিন যাবত পুরুষ সেজে জনৈক মা তার নিজের মেয়েকে লালন-পালন করে আসছেন। বিরল এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানে। দেশটির লাহোরের বাসিন্দা ফারহিন। এই লড়াইয়ে তাকে সাজতে হয়েছে পুরুষ, পরতে হয়েছে পুরুষের মতো পোশাক- আশাক।
আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলো দেখলে আমরা বিস্মিত হই। এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। সেখানে একজন মা দীর্ঘদিন ধরে পুরুষ সেজে মেয়েকে বড় করে তুলছেন! দীর্ঘদিন যাবত পুরুষ সেজে জনৈক মা তার নিজের মেয়েকে লালন-পালন করে আসছেন। বিরল এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানে। দেশটির লাহোরের বাসিন্দা ফারহিন। এই লড়াইয়ে তাকে সাজতে হয়েছে পুরুষ, পরতে হয়েছে পুরুষের মতো পোশাক- আশাক।
জানা যায়, লাহোরের আনারকলি বাজারে একটি দোকান পরিচালনা করেন ফারহিন। ৯ বছরের মেয়েকে নিয়েই জগৎসংসার তার। পরিবারে কোনও রকম পুরুষ উপার্জনকারী নেই। যে কারণে ফারহিনকেই পরিশ্রম করতে হয় উদয়াস্ত। তবে বাজারের মতো জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় একজন নারী হিসেবে নিরাপদে কাজ করা মোটেও সহজ কাজ নয় সেখানে। তাই ফারহিন চুল কেটে ফেলেছেন পুরুষের মতো ছোট করে। প্যান্ট পরে, পুরুষ সেজেই প্রতিদিন দোকানে বসেন তিনি। সারাদিন কাজ করে হোস্টেলে ফিরে তিনি পোশাক বদলান। ফারহিন একটি হোস্টেলেই বসবাস করেন মেয়েকে নিয়ে।
শুধু তাই নয়, সারাদিন বাজারে ব্যবসা করার পর, সন্ধা বেলায় ট্যাক্সিচালক হিসেবেও কাজ করেন ফারহিন। পাকিস্তানের মতো দেশে যেখানে নারীস্বাধীনতার আলো এখনও বেশ আবছা আবছা ভাব, সেখানে ‘সিঙ্গল মাদার’ শব্দবন্ধটিই বিরল ও চ্যালেঞ্জিং। সেই চ্যালেঞ্জের মুখেই লড়াই করে টিকে আছেন লাহোরের বাসিন্দা ফারহিন। পুরুষশাসিত সমাজকে তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জীবন নির্বাহ করছেন ফারহিন। তার প্রতিষজ্ঞা এভাবেই তিনি মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলবেন।