দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাঁপানি থাকার কারণে অনেকেই শরীরচর্চা এড়িয়ে চলেন। ব্যায়াম করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে ভেবে শরীরচর্চা থেকে দূরে থাকেন। তবে এই ধারণা কী আদৌ ঠিক?
হাঁপানি বা অ্যাজ়মার সমস্যা সাধারণত শীতকালেই বেশি হয়। এমন ধারণা আমাদের অনেকের মধ্যেই রয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। বছরের যে কোনও সময়ই হাঁপানির সমস্যা বাড়তে পারে। মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই অসুখ বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে থাকে।
হাঁপানি থাকার কারণে অনেকেই শরীরচর্চা এড়িয়ে চলেন। ব্যায়াম করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে ভেবে শরীরচর্চা থেকে দূরে থাকেন। তবে এই ধারণা কী আদৌ ঠিক? এটা অবশ্য ঠিক যে, হাঁপানি থাকলে কোনও শরীরচর্চা করার পূর্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি। নিজে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকরা মনে করেন, হাঁপানির সমস্যা থাকলে কোনও শরীরচর্চা করা যাবে না, এমনটি নয়। কিছু শরীরচর্চা রয়েছে যেগুলো নিয়মিত করলে সত্যিই উপকার পাওয়া যায়। শরীরচর্চা করলে শুধু হাঁপানিই নয়, সেই সঙ্গে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে আসবে। শ্বাস নেওয়ার সমস্যাও অনেকটাই কমে শরীরচর্চার অভ্যাসের কারণে।
হাঁপানি থাকলেও শরীরচর্চা করতে পারেন, তাতে কোনও রকম সন্দেহ নেই। তবে কী ধরনের শরীরচর্চা করছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। দৌড়ানো, বাস্কেটবল বা ওজন তোলার মতো শরীরচর্চা হাঁপানির সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে হাঁটাচলা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, যোগাসন করার মতো কিছু শরীরচর্চা করতেই পারেন। তাতে কোনোই অসুবিধা হবে না। বরং এই ধরনের ক্রিয়াকলাপে শরীর আরও সুস্থ থাকবে।
শরীরচর্চা করার সময় কোনও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না, সে বিষয়টি লক্ষ রাখা জরুরি। শ্বাস নিতে গিয়ে সমস্যা হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, কাশি বা বুকে ব্যথার মতো কোনও সমস্যা হলে সেই মুহূর্তে শরীরচর্চা বন্ধ করে বিশ্রাম নিতে হবে। এই লক্ষণগুলো ইঙ্গিত করে যে, বেশি পরিশ্রম হয়ে যাচ্ছে। হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রে যতো কম পরিশ্রম করা যাবে, ততোই ভালো।
শীত ছাড়াও গরমেও হাঁপানির সমস্যা থাকে অনেকের। সুস্থ থাকতে নিয়ম করে কয়েকটি হালকা আসনের ব্যায়াম করা যেতেই পারে। তবে ভারী কোনও শরীরচর্চা একেবারেই করা যাবে না। যদি করেন, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে তারপর করবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।