দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই হস্তরেখায় বিশ্বাস করি। হস্তরেখার বিভিন্ন চিহ্নের মধ্যে তারা চিহ্ন উল্লেখযোগ্য। জ্যোতিষশাস্ত্রে জাতক-জাতিকার উপর এই চিহ্নের গুরুত্ব রয়েছে।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে হস্তরেখার বিশেষ গুরুত্ব বিদ্যমান। হাতের তালুর নানা চিহ্ন বিভিন্ন গ্রহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ সময় শুভ-অশুভ ফল দান করে থাকে। এরমধ্যে তারা চিহ্ন অন্যতম। জ্যোতিষশাস্ত্রে জাতক-জাতিকার উপর এই চিহ্নের গুরুত্বের বিশেষ উল্লেখও রয়েছে।
বৃহস্পতি
বৃহস্পতির ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদের হাতে তারা চিহ্ন থাকে, তারা খ্যাতির নিরিখে জীবনে অনেকটা উপরে উঠাতে সক্ষম হন। সেই ব্যক্তিরা ভাগ্যবান, ক্ষমতাশালী ও বিখ্যাত নেতাও হতে পারেন। এই ক্ষেত্রে যদি বিবাহ রেখা সুস্পষ্ট, অভগ্ন ও সুঅঙ্কিত হয়, তাহলে জাতক-জাতিকার বিবাহিত জীবনও সুখকর হবে।
শনি
শনির ক্ষেত্রেও যদি তারাচিহ্ন থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি জীবনে সম্মান ও প্রতিষ্ঠা অর্জন করলেও তার মতো ভাগ্যহীন বলা যায় বিরল। এই ধরনের চিহ্ন যুক্ত জাতক-জাতিকারা অদৃষ্টের হাতের পুতুল হয়ে দাঁড়ান। তাছাড়া পক্ষাঘাত, বাত, হৃদরোগ ও কোনও মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখোমুখীও হতে হয় এদের। সেই ব্যক্তি রাজা হলেও, তার আজীবন শত্রুর দ্বারা আক্রান্তের সম্ভাবনাও থাকে।
রবি
করতলে রবির ক্ষেত্রে তারা চিহ্ন থাকলে জাতক-জাতিকারা শিল্প, কাব্য, সাহিত্য ইত্যাদির অনুশীলনেই বেশি কৃতী হন। তাছাড়া এই চিহ্ন প্রচুর ধন-সম্পত্তি এবং খ্যাতি এনে দেয়। অবশ্য করতলে মঙ্গল, শনি, শুক্র এবং বৃহস্পতির ক্ষেত্র স্বাভাবিক থাকলেও রবির জন্য এই ফল ভালোই হয়।
মঙ্গল
আর মঙ্গলের ক্ষেত্রে তারা চিহ্ন থাকলে মনের উদারতা ও সংকল্পের দৃঢ়তা জাতক-জাতিকার জীবনে সাফল্য এনে দেয়। তবে এদের জীবনের প্রথম দিকে খুবই পরিশ্রম করতে হবে, তবে শেষ পর্যন্ত এরা সুখী এবং যশস্বী হয়ে থাকেন।
রাহু
রাহুর ক্ষেত্রে তারা চিহ্ন থাকলে জাতক-জাতিকারা বীরের মতো যুদ্ধ করেন ও প্রচুর সম্মান লাভও করেন। সামরিক বিভাগের যে কোনও জায়গায় এরা অসামান্য দক্ষতা দেখাতেও সক্ষম হন।
চন্দ্র
যাদের চন্দ্রের ক্ষেত্রে তারা চিহ্ন থাকে তারা খুব কল্পনাপ্রবন হয়ে থাকেন। এদের চন্দ্রের ক্ষেত্র বেশি নিচু থাকলেও ওই চিহ্ন ফল মূলত আংশিক শুভ হয়। তাছাড়াও কল্পনামূলক কিছু লিখেও তারা যশ লাভ করেন।
শুক্র
শুক্রের ক্ষেত্রেও যাদের তারা চিহ্ন থাকে, তারা জীবনে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি একটু বেশি আকর্ষণ হন। তবে কোনও বিপরীত লিঙ্গের লোকের দ্বারাই এরা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রতারিত হন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English