দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমের এই সময়টিতে হজমের সমস্যা বেড়ে যায়। তবে হজমের সমস্যা দূর করতে খুব বেশি ওষুধনির্ভর হয়ে পড়া মোটেও ভালো নয়। ঘরোয়া উপায়ে সামলানো যেতে পারে এই হজমের সমস্যা।
কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে একটু বেশি খেয়ে ফেললে কিংবা তেলমশলার পরিমাণ সামান্য বেশি হয়ে গেলেই পেটের গোলমাল শুরু হতে পারে। কথায় কথায় মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসও রয়েছে অনেকের। চিকিৎসকরা মনে করেন, গ্যাসের সমস্যা আজকাল ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে। গরমে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে খুব বেশি ওষুধনির্ভর হয়ে পড়া মোটেও ভালো নয়।
ঘন ঘন গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস নানা ক্রনিক অসুখকে আরও ডেকে আনে। তাই স্বাভাবিক উপায়ে হজম ক্ষমতা বাড়ানো এবং হজম উপযোগী খাবার খাওয়া দরকার। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং কয়েকটি কৌশল মেনে চললে হজমের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন খুব সহজেই।
অশ্বগন্ধা
এই অশ্বগন্ধা মূলত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমাতে ও শরীরের বিপাক হার বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিপাকহার বাড়লে ওজন ঝরার প্রক্রিয়াও তরান্বিত হবে। গরম পড়লে হজমজনিত সমস্যার শিকার হন অনেকেই। অশ্বগন্ধা সেই সমস্যার চটজলদি সমাধান করতে সিদ্ধহস্ত। এক চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো ঈষদুষ্ণ পানিতে গুলে ১০ মিনিট রেখে তারপর সেই পানীয় খেয়ে ফেলতে হবে। দিনে এক থেকে দু’বার এই পানীয়টি খেতে পারেন।
অর্জুনের ছাল
এই অর্জুন গাছের ছাল উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এমনকি সর্দিকাশি কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এই গাছের ছালে কোয়েনজাইম কিউ১০ থাকার কারণে রক্তচাপের মাত্রা কমানোয় কাজে আসতে পারে এই ছাল। তবে জানেন কী? এই ছাল হজমের সমস্যার অন্যতম একটি দাওয়াই। পরিপাকক্রিয়া ভালো রাখতে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন এটির উপর। এক গ্লাস গরম পানিতে ২ থেকে ৩ গ্রাম অর্জুন ছালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। দিনে দু’বার খেতে পারেন এই পানীয়টি। এতে আপনি দারুণ উপকার পাবেন।
আদা
আদার গুণ তো বলে শেষ করা যাবে না। অনেক কিছুর জন্যই উপকারী এই আদা। তবে আদা যে বদহজমের সমস্যাও মেটাতে পারে, তা কী আপনি জানেন? পানি গরম করে তাতে ২ চামচ আদার রস, ১ চামচ লেবুর রস এবং কিছুটা লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পানি অল্প অল্প করে খান। দ্রুত আরাম পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।