দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাপানের ভেন্ডিং মেশিনে এতোদিন পাওয়া যেতো তিমির মাংস, শামুক কিংবা পোকামাকড় যে গুলো খাওয়া যায়। এবার ওই খাদ্যতালিকায় যোগ হয়েছে একটি নতুন খাবার সেটি হলো বন্য কালো ভালুকের মাংস!
সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে, জাপানের সেম্বোকু শহরের একটি ভেন্ডিং মেশিন থেকে স্থানীয় কালো ভালুকের বিভিন্ন সাইজের মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বলে একটি জাপানি দৈনিক পত্রিকার খবরে বলা হয়।
বিবিসি বলছে যে, প্রায় ২২০০ ইয়েন কিংবা ১৭ মার্কিন ডলার খরচ করে গ্রাহকরা প্রতি ২৫০ গ্রাম চর্বিযুক্ত কিংবা চর্বিহীন মাংস কিনতে পারেন বলে মাইনিচি শিম্বুন রিপোর্টে বলেছে। কেজি হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে ৭ হাজার টাকারও বেশি।
এশিয়াটিক কালো ভালুককে আন্তর্জাতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়ে থাকে। তবে জাপান বলছে যে, তারা এই ভালুক শিকারের সংখ্যা সীমিত করে এনেছে।
জাপানের একটি সংবাদপত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সেম্বোকু শহরের একটি ভেন্ডিং মেশিনে স্থানীয় কালো ভালুকের বিভিন্ন আকারের মাংসের টুকরা বিক্রি করা হচ্ছে। গ্রাহককে ২৫০ গ্রাম মাংস কিনতে গুনতে হবে দুই হাজার ২০০ ইয়েন (অর্থা/ ১৭ ডলার)। শুধু তা-ই নয়, চর্বি ছাড়া কিংবা চর্বিযুক্ত মাংস পছন্দ অনুযায়ী কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিকারিদের ভালুককে গুলি করে হত্যার অনুমতি দেওয়া হয় জাপানে। কালো ভালুক ১২ শতাংশ পর্যন্ত শিকার করা যাবে বলে অনুমতি দেয় দেশটির সরকার। জাপানে ১৫ হাজার কালো ভালুক রয়েছে বলে মনে করা হয়। গত নভেম্বরে ভালুকের মাংস বিক্রির মেশিনটি স্থাপনের পর থেকে টোকিওর আশপাশের অঞ্চলের মানুষও এর সন্ধান করছেন।
স্থানীয় সোবা গোরো রেস্তোরাঁর একজন প্রতিনিধি মাইনিচিকে বলেছেন, ‘ভালুকের মাংসের স্বাদ পরিষ্কার ও ঠাণ্ডা হলেও শক্ত হয় না। এটি হালকা ভেজে কিংবা স্টেক বানিয়ে খাওয়া যায়।’
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, খাবার সংকটের কারণে ভালুকরা দিনকে দিন বন ছেড়ে শহরে প্রবেশ করছে, যা প্রাণীটিসহ স্থানীয়দের জন্য হুমকিস্বরূপও।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিল হতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তর মিয়াগি প্রিফেকচারে ভালুকের আক্রমণের ৫টি অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে আহত হন অন্তত ৭ জন। ২০০১ সালের পর যা ছিল সর্বোচ্চ আক্রমণের ঘটনা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।