দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় খুব সহজেই স্মার্টওয়াচ কেনা যায়। তবে কিছু স্মার্টওয়াচ রয়েছে যা খুবই দামি। এগুলো কেনার আগে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখাটা জরুরি।

গুগল, স্যামসাং এবং অ্যাপল ওয়াচের কথাই ধরা যাক। অনেকেই হয়তো ভাবেন যে, এতো বেশি দাম দিয়ে কেনার কি-ই বা আছে? উত্তর হলো, প্রযুক্তির ব্যবহারিক দিক বুঝে নিলে দামটা গায়ে লাগার কথায় না। সেইজন্য দামি স্মার্টওয়াচ কেনার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই দেখে নিতে হবে।
ওএস কম্প্যাটিবিলিটি
স্মার্টওয়াচটি কোন কোন ওএসের সঙ্গে কম্প্যাটিবল সেটা জানাটা জরুরি। কমদামি স্মার্টওয়াচগুলো সচরাচর অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন দুই ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। তবে ফ্ল্যাগশিপে এতোটা সুবিধা পাবেন না। আপনি যদি আইফোন কেনেন তাহলে অ্যাপল ওয়াচ আপনার জন্যই ভালো। কারণ এই স্মার্ট ওয়াচ আপনার ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে অনেক আধুনিক ফিচার উপভোগও করতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য স্যামসাং, শাওমি, এমেজফিট এবং গুগল ওয়াচসহ আরও অনেক নামিদামি ব্র্যান্ড স্মার্টওয়াচ বানিয়ে থাকে। তাই কেনার ক্ষেত্রে অপশনের অভাবে কখনও ভুগতে হবে না আপনাকে।
ব্যাটারি
স্মার্টওয়াচ কেনার সময় ব্যাটারির বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অনেকেই এই বিষয়টি মাথায় রাখেন না। এটি বড় ভুল। যেমন ধরুন- গুগল ওয়াচের কথা। গুগল ওয়াচে অসাধারণ কিছু ফিচারও রয়েছে। তবে এর ব্যাটারি তেমন ভালো নয়। আপনি যদি ফোন সংযুক্ত করেও রাখেন তাহলে দিনে অন্তত একবার আপনাকে চার্জ দিতেই হবে। সময়ের হিসাব করে অনেক সময় দেখা যায় রাতেই এটিকে চার্জ দিতে হয়। তবে আপনি স্লিপ ট্র্যাকিং করলে তা অবশ্য সম্ভব না। যে কারণে অনেকেই গুগল ওয়াচ কেনার ক্ষেত্রেও ভাবনা চিন্তা করেন। ব্যাটারি লাইফটাও বিবেচনায় আনতে হবে।
অ্যাপের সুবিধা
স্মার্টওয়াচের সঙ্গে কম্প্যাটিবল অ্যাপটি আপনার অভিজ্ঞতা অনেকটা বদলেও দিতে পারে। এখন যেসব স্মার্টওয়াচে WearOS রয়েছে সেগুলোতে থার্ড পার্টি অ্যাপ সংযুক্ত করার সুবিধাও রয়েছে। আইফোনে আপনি এতোটা সুবিধা পাচ্ছেন না। তবে অ্যান্ড্রয়েডে দামি স্মার্ট ওয়াচের ক্ষেত্রেও এই সুবিধাটি রয়েছে।
ফিটনেস ফিচার
ফিটনেস ফিচারের সবই যে কাজে লাগে তা অবশ্য নয়। তবে দামি স্মার্ট ওয়াচ যে রিড দেয় তা অনেকটা নির্ভুলের কাছাকাছি। তাছাড়াও দামি পণ্যে অতিরিক্ত কিছুই দেওয়া হয় না। তারপরও সব ঘড়িতে যে ভালো কিছু থাকবে তা নয়। অনেক দামি স্মার্ট ওয়াচেই অনেক কিছুই থাকে না। তাই বাজারে দেখে তুলনা করে তারপর কিনুন। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।