দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধুমাত্র ঠাণ্ডা-গরম থেকেই নয় ইনফ্লুয়েঞ্জা, এইচ১এন১, এইচ৩এন২ বা করোনার মতো ভাইরাসের দাপটে অনেক সময় গরমেও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
রাস্তায় বের হলেই প্রচণ্ড দাবদাহ ও অফিসে ঢুকলেই এসির ঠাণ্ডা হাওয়া। রোদ থেকে বাড়ি ফিরে এসির রিমোটে হাত চলে যায় সবার। ঘরের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে না আনলে যেনো স্বস্তিই হয় না আমাদের। এই ঠাণ্ডা-গরম থেকেই ঘরে ঘরে জ্বর ও সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু থেকে বড় প্রায় সকলেই। শুধু জ্বরই নয়, নাক থেকে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, এমনকি গলাব্যথাও হচ্ছে। ভাইরাসের সংক্রমণ হলে অনেক সময় আবার ডায়েরিয়ার সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, এই মৌসুমে কেবল ঠাণ্ডা-গরম হতেই নয় ইনফ্লুয়েঞ্জা, এইচ১এন১, এইচ৩এন২ এমনকি কোভিডের মতো ভাইরাসের দাপটেও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বাড়তে পারে। অনেকের আবার গরমের সময় রোদ হতেও অ্যালার্জির সমস্যা হয়, আবার সেই থেকেও শ্বাসনালিতে কফ জমে, নাক বন্ধ হয়ে যায়- কাশিও শুরু হয়।
এইসব উপসর্গ থাকলে যা করবেন
# চিকিৎসকরা মনে করেন, এই রকম উপসর্গ দেখলে সবার আগে মাস্ক পরা শুরু করুন ও অন্যদের থেকে বিশেষ করে শিশু ও ঘরের বয়স্ক সদস্যদের থেকে দূরে থাকুন। ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ় করতে হবে।
# যদি দেখেন জ্বর ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছুঁয়ে গেছে, তাহলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে পারেন।
# যদি নাক সুড়সুড় করে তাহলে স্যালাইন ওয়াটার (স্যালাইন ন্যাজ়াল স্প্রে) দিয়ে নাক পরিষ্কার করে নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিহিস্টামিনিক ওষুধও খেতে পারেন। গলাব্যথা এবং গলা খুসখুস করলে লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন। দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ বার গরম পানির ভাপ নিন।
# এই সময় পানি খাওয়ার পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে হবে। গরমে সুস্থ থাকার এর থেকে ভালো দাওয়াই আর হতে পারে না। আপনার ডায়েটের উপরেও নজর দিন। মৌসুমের ফল ও শাকসব্জি বেশি করে খাদ্যতালিকায় রাখুন। তেলমশলাদার খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।