দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য একটি ভালো দিক হলো এই বেড়ানো। অন্তত বছরে একবার স্বামী-স্ত্রীর ঘুরতে যাওয়া উচিত। তাতে মন ও মানষিকতা অনেক ভালো থাকে।
ঘুরতে যাওয়ার শুধু যে প্রকৃতি দর্শন তা কিন্তু নয়। বরং বেড়াতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের আরও উন্নতি হয়। তাই প্রতিবছর অন্তত একবার দম্পতিদের ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে, বিবাহিত জীবন হলো অনেকটা ম্যারাথন রেস। এখানে প্রথম থেকে খুব বেশি জোরে দৌড়ালে পরে গিয়ে আর দম পাবেন না। আর তখন ভালোবাসার অভাবে রেস থেকে যাবে অসমাপ্ত। তাই আপনাকে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে দম বাঁচিয়ে রাখার জন্য। এমনকী মাঝে-মধ্যে হেলথ ড্রিংকসও পান করতে হবে।
দাম্পত্যের ক্ষেত্রে হেলথ ড্রিংকসই হলো সময় পেলেই ঘুরতে যাওয়া। বছরে একবার একটা বড় ট্যুর করে ফেলতে পারলে দেখবেন বড় বড় সব সমস্যার সহজ সমাধান করে ফেলতে পেরেছেন। নিজেরাও ভালো রয়েছেন। সব কুয়াশায় তখন মন থেকে ধুয়ে যাবে। নতুন করে বাঁচতেও পারবেন। পাবেন আরও কিছু উপকার।
মন খুশ- তো দিল খুশ
পায়ের তলায় সর্ষে ফেলে একটু চলুন না দূরে কোথাও। পাহাড়ের কোলে বা সমুদ্রের তীরে। চাইলে ঘন সবুজ বনানীর মধ্যেও হেঁটে আসতে পারেন। শুধু বেরিয়ে পড়া লাগবে। তাহলে প্রকৃতির অকৃত্রিম সৌন্দর্যে আপনার চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। মনের ভিতর চলবে ঠাণ্ডা হাওয়া। সেই হাওয়া যে কোনও মন খারাপের মহৌষধি হতে পারে।
সম্পর্কের ভিত হতে হবে পোক্ত
ঘরের চার দেওয়ালের ভিতর একই রুটিন মেনে চলতে চলতে মনটাও যেনো ব্যকুল হয়ে ওঠে। তখন কিছুই কোনো কিছুই আমাদের মনে ধরে না। এমনকী সম্পর্কের জমিতেও জমা হয় শ্যাওলা। সেই শ্যাওলায় পা পিছলে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই এই একঘেয়েমি কাটানোর জন্য বেরিয়ে পড়ুন ঘরের বাইরে বেড়াতে। ঘুরতে গেলেই দেখবেন আবার সম্পর্কের গাড়ি মসৃণ গতিতে এগিয়ে চলেছে। দাম্পত্যে ফিরেছে নতুন প্রাণ। ফিরে এসে আবার নতুন করে বাঁচার রাস্তা পেয়ে যাবেন অনায়াসে।
কাছাকাছি আসার সুযোগ পাওয়া যাবে
একটা সময়ের পর বিবাহিত জীবনে আর তেমন কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। তখন পাশাপাশি থাকাটা মূলত রুটিনে পরিণত হয়। যেনো থাকতে হয় বলেই থাকা। তবে আপনাকে এই রুটিনটিই ভাঙতে হবে। তাই ঘরের বাইরে স্বামী-স্ত্রী বেরিয়ে পড়ুন। এতে সেই হারিয়ে যাওয়া আকর্ষণ ফিরে পাবেন। সম্পর্কের মধ্যে প্রবেশ করবে দু’মুঠো হালকা বাতাস। অক্সিজেনও পাবে নুইয়ে পড়া দাম্পত্য।
একাকিত্ব দূর হবে
অনেক সময় ব্যস্ততার এই জীবনে একে অপরকে সময় দেওয়া খুব একটা হয়ে ওঠে না। দুজনেই চাকরি করার সুবাদে পরস্পরের থেকে দূরে চলে যেতে থাকেন ক্রমশ। শুধু কাজ ও কাজ। সময়ের বড়ই অভাব। তবে এই সমস্যার সহজ সমাধান করে দিতে পারে একটা ছোট্ট ভ্রমণ। তাই দেরি না করে আজই টিকিট বুকিং, হোটেল বুকিং সেরে নিতে পারেন। ছকে ভরে নিন রুট ম্যাপ।
ভ্রমণে সহনশীলতা বাড়ে
বেড়াতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া আরও পোক্ত হয়। আসলে বাইরে কোথাও গেলে সেখানকার মতো করে জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে যায়। তাছাড়া তখন সংসারের কাজকর্ম থাকে না যে কারণে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের সময় দিতে পারেন। কারণ ঘুরতে গেলে এমনিই সহনশীলতা আপনার মধ্যে চলে আসবে। এই গুণ কাজে লাগবে সংসার করার ক্ষেত্রেও। তাই আর সময় নষ্ট না করে ঘোরার পরিকল্পনা করে ফেলুন। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।