দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খাতে মাইক্রোসফট এবং ওপেনএআই বিভিন্ন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্মুখীন হওয়ার মধ্যে গুগলের একেবারে নতুন এআই চালিত সার্চ ইঞ্জিন তৈরির খবর প্রকাশ পেলো।
এই কোম্পানিটি এমন এক সার্চ পরিষেবা তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পার্সোনালাইসড অভিজ্ঞতার সুবিধা দেবে – এমন কথা বলা হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে।
অবশ্য এই প্রকল্পের কোনো পরিষ্কার সময়সূচী নেই। সেইসঙ্গে নিজেদের বিদ্যমান সার্চ ইঞ্জিনেও ম্যাগি কোড নামে নতুন এক শ্রেণির এআই ফিচার তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে গুগল।
এইসব ফিচারের সঙ্গে সঙ্গে গুগল এমন এক চ্যাটবট বানাচ্ছে, যা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কোড স্নিপেটোও বানাতে পারে। টাইমসের তথ্য বলছে যে, পুনঃনকশার জন্য এর মধ্যে ১৬০ জনের বেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে এই কোম্পানিটি।
উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা অন্যান্য নতুন সংযোজনের মধ্যে রয়েছে সার্চঅ্যালং নামে একটি ক্রোম ফিচার। প্রাসঙ্গিক তথ্য দেখানোর উদ্দেশ্যে এটি চ্যাটবটকে ব্যবহারকারীর পড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইট স্ক্যান করার সুযোগও দেবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো ব্যবহারকারী এয়ারবিএনবিতে থাকার জায়গা খুঁজতে চাইলেই পরিকল্পিত আবাসনের কাছাকাছি তিনি কী দেখতে বা করতে চাইছেন, সেটি তিনি চ্যাটবটকে বলতেও পারেন।
জিফি এবং টিভলি টিউটর নামে পরিচিত পরীক্ষামূলক ফিচার দু’টি ব্যবহারকারীকে গুগল ইমেজ সার্চে ছবি তৈরি এবং চ্যাটবটে কথপোকথনের জন্য নতুন ভাষা শেখার সুযোগ করে দেবে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।
এইসব ফিচারের বেশ কয়েকটি অতীতে গুগল হয়তো নমুনা হিসেবে ব্যবহার করেছে কিংবা এগুলো ‘ডুয়োলিঙ্গো’র মতো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেই রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্লাইডস অ্যাপে এরমধ্যে ছবি তৈরির সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন শরতে কয়েকটি বাড়তি নতুন ফিচার চালুর লক্ষ্যে পরের মাসে ম্যাগি চালুর ঘোষণার পরিকল্পনা করছে গুগল কর্তৃপক্ষ। এই ধারাবাহিকতা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ২০২৩ সালের আই/ও আয়োজনেও এটি দেখা যেতে পারে।
এই বছরের শেষ নাগাদ ৩ কোটি ব্যবহারকারীর কাছে ম্যাগির বিভিন্ন ফিচারের বিস্তৃতি ছড়ানোর পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখ ব্যবহারকারীর কাছে এটি পৌঁছানোর লক্ষ্যস্থির করেছে গুগল।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।