দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাছ ভাজার সময় তেল ছিটকাবে না এমনটি কী হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাছের দেহে পানির পরিমাণ ৮০ শতাংশ। পানির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে গরম তেলে পড়লেই তখন তেল ছিটকে পড়ে। এর সমাধানও রয়েছে।
রান্না করতে গিয়ে গরম কড়াই কিংবা পাত্রে আচমকা হাত ঠেকে গেলে ফোসকা পড়ে যেতে পারে। রান্না করতে গেলে কখনও কখনও গরম তেলে ছিটকেও ঘটতে পারে একই ধরনের ঘটনা। বিশেষ করে মাছ ভাজতে গেলে এমন সমস্যা একটু বেশিই হয়ে থাকে।
মাছ খাবার! বাঙালিরা কখনও ভাবতেই পারেন না। অথচ মাছ রান্না করা কম ঝামেলার কাজ নয়। প্রথমত:, মাছ ধোয়ার পর হাত থেকে মাছের গন্ধ যেতেই চাই না। তারপর মাছ ভাজতে গিয়ে রান্নাঘরে তেল ছিটে ছোট-খাটো বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। বিশেষ করে শিঙি, মাগুর, ভেটকি, শোল, বোয়াল কিংবা ট্যাঙরা মাছের স্কিন অন্যান্য মাছের তুলনায় একটু বেশিই মোটা হয়। তাই এই সব মাছ ভাজতে গেলে রীতিমতো ঢালের দরকার পড়ে। তবে কয়েকটি টিপস জানা থাকলে আর চিন্তার কিছু নেই! মাছ ভাজার সময় এই নিয়মগুলো ফলো করলে এমন ধরনের সমস্যা তো হবেই না, সেইসঙ্গে ফোসকা পড়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
টিস্যুর দিয়ে মাছের পিস ভালো করে শুকিয়ে নিন
মাছ ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার পর মাছ শুকিয়ে নিন। সেজন্য মাছের পিসগুলোকে টিস্যু পেপারে রেখে ভালো করে শুকিয়ে নিন। তারপর তেল গরম করে কড়াইতে মাছগুলো ভেজে নিন। এই নিয়মটি মানলে দেখবেন তেল ছিটে আসার ঘটনা ঘটবে না।
ময়দার কোট করে নিতে পারেন
মাছ ভাজার আগে মাছের পিসগুলোর উপর কিছুটা পরিমাণ ময়দা ছড়িয়ে দিয়ে প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে, তাহলে ওই মাছ ভাজার সময় তেল ছড়িয়ে পড়বে না। আসলে মাছের পিসের উপর ময়দার স্তর থাকলে মাছের মধ্যে যে পানি রয়েছে তা শুষে নেবে খুব সহজেই। যে কারণে তেল ছিটকাবে না।
পিসের সাইজগুলো ছোট রাখুন
বটিতে কাটার সময় মাছের পিসগুলো একটু ছোট করে কাটলে মাছের গায়ে পানির পরিমাণ একটু হলেও কমে আসবে। এতে ভাজার সময় তেলও কম লাগবে।
গরম তেলে কিছুটা লবণ দিয়ে দিন
কড়াইতে তেল দিয়ে এক চিমটি পরিমাণ লবণ ফেলে দিন। তারপর মাছের পিসগুলো তেলে ছেড়ে দিন। এতে করে তেলের ঘনত্ব তখন পাতলা হয়ে যাবে। যে কারণে তেল ছিটকে আসার সম্ভাবনাও কমে আসবে।
মাছে সরষের তেল মাখিয়ে রাখুন
মাছ ধোয়ার পর লবণ-হলুদের সঙ্গে একটু সরষের তেলও মাখিয়ে রাখতে পারেন মাছের গায়ে। এতে করে ভাজার সময় তেল ছিটকানোর ভয় থাকবে না। মাছ ভাজার সময় বার বার নাড়া থেকে বিরত থাকুন! খেয়াল রাখবেন যেনো ওভেনের আঁচও একটু কম থাকে। কড়াইতে মাছের পিসগুলো দেওয়ার পর মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করতে হবে, এরপরই উল্টে দিন। মাছ ভাজার পূর্বে অবশ্যই তেলটা ভালো করে গরম করে নিন। কখনও অল্প তেলে মাছ ভাজবেন না। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।