দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৌরির নানা গুণ বিদ্যমান। তাই মৌরি খাওয়া শরীরের জন্য বড়ই উপকারী। এছাড়াও এই প্রাকৃতিক উপাদান ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাহলে কীভাবে খেলে উপকার পাবেন?
আপনার ওজনকে বেঁধে রাখতে হবে নির্দিষ্ট গণ্ডিতে। এই বিষয়ে একটু অসচেতন হলেই চিত্তির! কারণ ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলে বিভিন্ন অসুখ শরীরে বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা এখন প্রথম প্রায়োরিটি।
তবে ওজন বেশি থাকার সমস্যাকে অনেকেই কেবলমাত্র কসমেটিক্স জটিলতাকেই ভাবেন। জামা-কাপড় পরে তাদের মানাচ্ছে না, ভুঁড়ি বেরিয়ে আসছে – এমন দেখনদারি গণ্ডিতে তারা ওবেসিটিকে বেঁধে রাখেন। যদিও ওজন বেশি থাকার মাশুল গোটা শরীরকে দিতে হয়।
সাধারণত অত্যাধিক ওজনের কারণে বিপাক ক্রিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাবও পড়ে। যে কারণে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখ, থাইরয়েড, হাই ব্লাড প্রেশারের মতো জটিল রোগ জড়িয়ে ধরে। এছাড়াও ওজন বেশি থাকার কারণে কোলোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
আপনি জানলে অবাক হবেন, আপনার হাতের কাছে থাকা মৌরি ওজন কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।
মৌরির নানা গুণ
এই মৌরির ভিতর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর হতে ক্ষতিকর সব পদার্থ বের করে দেয়। যে কারণে শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে বলে মৌরি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও মোক্ষম হাতিয়ার।
এই প্রাকৃতিক উপাদান নিয়মিত মুখে দিলে আপনার ওজন তরতর কমতে থাকবে। তবে যেনো-তেনোভাবে মৌরি খেলে এই উপকার পাবেন না। বরং এই উপায়ে খেতে হবে মৌরি। তবেই কমবে আপনার ওজন।
মৌরির পাউডার ব্যবহার করুন
এই মৌরির পাউডার তৈরি করা কোনও কঠিন কাজই নয়। এক্ষেত্রে কিছুটা পরিমাণ মৌরি নিয়ে তা গ্রাইন্ডারে ঘুরিয়ে নিতে হবে। তাতেই তৈরি হয়ে যাবে মৌরির পাউডার। এই পাউডার আপনি যে কোনও রান্নায় ব্যবহারও করতে পারেন। ইচ্ছে হলে পাউরুটির উপরেও ছড়িয়ে দিতে পারেন অথবা শরবতেও মেশাতে পারেন। এই উপায়ে মৌরির পাউডার খেলেও দ্রুত ওজন কমবে। এমন কি পেটের সমস্যাও দূর হবে। কমে যাবে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা।
রাতে পানি ভিজিয়ে পরের দিন খান
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মৌরি ভেজানো পানি খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। যুগের পর যুগ ধরে আমাদের দেশে এই পানীয় খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। এক্ষেত্রে ১ গ্লাস পানিতে ১ মুঠো মৌরি মেশান। এরপর সারারাত গ্লাস ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে। পরের দিন সকালে উঠে এই পানি ছেঁকে নিয়ে পান করতে হবে। এতে করে পেটের নানাবিধ সমস্যা একেবারে উবে যাবে। খাবার হজম হবে খুব সহজেই। এতে ওজনও কমবে তর তরিয়ে।
মৌরির চা
বিকেলের দিকে চা খান অনেকেই। তবে এখন থেকে চায়ের সঙ্গে গরম পানিতে কিছুটা মৌরি মিশিয়ে নিন। এই পানীয়ের উপকার আরও কিছুটা বাড়াতে চাইলে সামান্য পরিমাণে গুড়ও মেশাতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস থাকলে গুড় এড়িয়ে চলায় ভালো।
কারণ এই পানীয় শরীরে বিপাকের হার বাড়ায়। এনার্জি প্রদান করে এবং দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। আবার মৌরি পুড়িয়েও খেতে পারেন। এক চামচ মৌরি নিয়ে সেই চামচ ধরুন হালকা আঁচের উপর। মৌরি কিছুটা পুড়ে গেলে সুন্দর একটা গন্ধ বের হবে। সঙ্গে সঙ্গে চামচটা আগুনের উপর থেকে সরিয়ে দিয়ে তারপর এই পোড়া মৌরি খেতে পারেন মিছরির সঙ্গে মিশিয়ে। এতেও পেটের স্বাস্থ্য ফিরবে। এতে খিদে পাবে কম। যে কারণে ওজন কমার রাস্তাও খুলে যাবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।