দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোভিডের কারণে দুই বছর একেবারেই বন্ধ ছিলো সিনেমা হলগুলো। যে কারণে ব্যবসার মুখ দেখেননি তারা। এবার সেই খরা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। আসছে ঈদুল আজহায় মূলত ৪ জন মেধাবী অভিনেতার লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলচ্চিত্রের এই সংকট সময়ে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ওটিটি প্লাটফর্মে বিশ্বমানের কন্টেন্ট আলোচনায় আসায় ছোটপর্দার তারকারাও বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন চলচ্চিত্রে। আর সেই প্রেক্ষাপটে আসছে ঈদুল আজহায় মূলত ৪ জন মেধাবী অভিনেতার লড়াই হবে বলে মনে করছেন। এই তালিকায় শাকিব খান, মাহফুজ আহমেদ, আফরান নিশো এবং রয়েছেন সিয়াম আহমেদ।
যারা প্রত্যেকেই শোবিজের বিভিন্ন অঙ্গনে নিজেদের মেধা এবং যোগ্যতায় জনপ্রিয় হয়েছেন ও দর্শকদের একটা রুচিশীল গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছেন। এদের ভেতরে বড়পর্দার পরীক্ষায় দীর্ঘদিনের সফল অভিনেতা হিসেবে রয়েছেন শাকিব খান। বড়পর্দার সকল অঙ্কে তাকে মাপা হয়েও গেছে ও একাধিকবার সফলও হয়েছেন। অপরদিকে সিয়াম আহমেদের অল্প সময়ের ক্যারিয়ার হলেও সফলতা ব্যর্থতা মিলিয়ে তিনিও পরীক্ষিত একজন চলচ্চিত্র তারকা।
অপরদিকে আফরান নিশোকে গত কয়েকবছর ধরে ছোটপর্দা, বিজ্ঞাপন, ইউটিউব কন্টেন্টের রাজা বলা হয়ে থাকে। তিনি এবারই প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রের পরীক্ষায় আসছেন। তবে মাধ্যম এবং এর বাণিজ্যিক রসায়ন তার জন্য হবে একেবারেই নতুন।
এর বাইরে ছোটপর্দার শাহরুখ খ্যাত এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় রোমান্টিক হিরো মাহফুজ আহমেদের চলচ্চিত্রের পাঠও একেবারেই মন্দ না। হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্রসহ নিজের প্রযোজনার চলচ্চিত্রে কাজ করে তিনি জানেন যে, এ দেশের চলচ্চিত্র বাজারের মারপ্যাঁচ।
চলচ্চিত্রে এবারের ঈদুল আজহায় লড়াইটা মোটেও অসম লড়াই হবে না এটুকু বলাই যায়। একেবারেই সমশক্তির লড়াই হবে আসছে ঈদুল আজহায়। এই ক্ষেত্রে দর্শকদের সিনেমা হলে ফেরানোর যে আলোচনা তা বেশ জমজমাটই হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। এদিকে শাকিব খানের দুটি ছবি অন্তরাত্মা ও আগুন মুক্তির জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নিলেও কোনো এক অজানা কারণে এই দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে না বলে শোনা যায়।
রায়হান রাফি তমা মীর্জার সাথে আফরান নিশোর পর্দা রসায়নও দেখা যাবে তার ঈদের ছবি ‘সুড়ঙ্গে’। অপরদিকে দীপংকর দীপনের ‘অন্তর্জাল’ ছবিতে আসছেন সিয়াম আহমেদ। আর চয়নিকা চৌধুরী তার দ্বিতীয় ছবি ‘প্রহেলিকা’ নির্মাণ করছেন মাহফুজ এবং বুবলীকে নিয়ে। ছবিগুলোর নির্মাণ এবং গল্পের বুননেই দর্শকের রায় পাওয়া যাবে। তবে বলা যায়, ছবিগুলো নিয়ে একটা দারুণ কৌতুহল এবং আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে দর্শকদের মধ্যে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।