দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় দেখা যায় গরম ভাতের ফ্যান কিংবা বাসন মাজার সাবানে থাকা ক্ষার ও স্থানবিশেষে কলের পানিতে থাকা অতিরিক্ত আয়রণ থেকেও স্টিলের সিঙ্কে দাগ হতে পারে। রান্নাঘরের পুরনো স্টিলের সিঙ্কও হয়ে উঠতে পারে রুপোর মতো চকচকে! কীভাবে? আজ জেনে নিন বিষয়টি।
আপনার রান্নাঘরের স্টিলের সিঙ্কে কেমন যেনো দাগ পড়ে গিয়েছে। মাছ, মাংস, সব্জি ধোয়ার পর নিয়মিত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করেন। তবুও যে কেনো এমন দাগ হচ্ছে, ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না আপনি।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অনেক সময় গরম ভাতের ফ্যান কিংবা বাসন মাজার সাবানে থাকা ক্ষার ও স্থানবিশেষে কলের পানিতে থাকা অতিরিক্ত আয়রণ থেকেও স্টিলের সিঙ্কে এমন দাগ হতে পারে। পরবর্তীতে এই দাগ পড়ে যাওয়া জায়গার উপরই জং পড়ে যেতে পারে। তেল ও পানির মিশ্রণে রোগ-জীবাণু বাসা বাঁধাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেখান থেকে পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। তাই নিয়মিতভাবে সিঙ্ক পরিষ্কার করাটা জরুরি। তবে কী দিয়ে আপনি এই সিঙ্ক পরিষ্কার করবেন? রান্নাঘরে থাকা কিছু উপকরণ দিয়েও তা নতুনের মতোই ঝকঝকে করে তোলা যায়।
বেকিং সোডা
একটি পাত্রে ভিনেগার নিয়ে তাতে বেশ কয়েকটি কাগজের টুকরো ডুবিয়ে রাখতে হবে। এখন সেই ভেজা কাগজগুলো সিঙ্কের ধার বরাবর ছড়িয়ে অন্তত ২০ মিনিট রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে যেমন জীবাণু দূর হবে, সিঙ্কের ধারে জমে থাকা পানির দাগও পরিষ্কার হবে।
ভিনেগার
স্ক্রাবারে ভিনেগার নিয়ে সিঙ্ক ভালো করে ঘষে নিতে হবে। ওই অবস্থায় রেখে দিতে হবে অন্তত ঘণ্টাখানেক। এরপর বাসন মাজার তরল সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিলেই দেখবেন সিঙ্ক আবার নতুনের মতোই ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
লেবু
সিঙ্কে সামান্য বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিয়ে এরপর লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে রাখুন বেশ কিছুক্ষণ। পানিতে থাকা আয়রণের নাছোড় দাগও তখন উঠে যাবে এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে।
অলিভ অয়েল
পুরনো স্টিলের সিঙ্কে নতুনের মতো জেল্লা এনে দিতে সক্ষম এই অলিভ অয়েল। সাবান বা বেকিং সোডা দিয়ে সিঙ্ক ধুয়ে শুকিয়ে নেওয়া পর, শুকনো কাপড়ে অলিভ অয়েল নিয়ে সিঙ্কে ভালো করে মাখিয়ে নিলে সিঙ্ক নতুনের মতোই ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
তরল সাবান
সিঙ্কে জমা হওয়া তেল পরিষ্কার করতে হলে অব্যর্থ বাসন মাজার তরল সাবান। আপনার হাতে যদি খুব সময় না থাকে, সেই ক্ষেত্রে প্রতি বার বাসন মাজার শেষে তরল সাবান দেওয়া স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে নেওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।