দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই গরমের সময় বাড়ি জীবাণুমুক্ত রাখা খুব সহজ নয়। সবথেকে বেশি নোংরা হয় বাড়ির রান্নাঘর। তবে কয়েকটি পরামর্শ মেনে চললে গরমেও থাকতে পারবেন জীবাণুমুক্ত।
গরমে শুধু শরীর এবং ত্বকই নয়, বাড়িঘরেরও বাড়তি যত্ন প্রয়োজন হয়। এই সময় জীবাণু থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও সবচেয়ে বেশি থাকে। ডায়েরিয়া, পেটের গোলমাল, বদহজমের মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয় সেখান থেকেই। যে কারণে বাড়ি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে আপোস করলে চলবে না। বাড়ি জীবাণুমুক্ত রাখা খুব সহজ নয়। সবচেয়ে বেশি নোংরা হয় বাড়ির রান্নাঘর। তবে কয়েকটি পরামর্শ মেনে চলতে পারলে থাকতে পারবেন জীবাণুমুক্ত।
# রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করার কোনো বিকল্প নেই। একটি ছোট পাত্রে সাবানপানি গুলে নিয়ে একটি ছোট ন্যাকড়া ভিজিয়ে মুছে নিন রান্নার স্ল্যাব ও গ্যাস। আধুনিক মডিউলার কিচেনে বিভিন্ন ধরনের তাক এবং ড্রয়ারও থাকে, সেগুলোও সাফ করুন নিয়মিতভাবে। রান্নাঘরে চিমনি থাকুক কিংবা নাই থাকুক, দেওয়ালে তেলমশলা জমবেই। তাই নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে দেওয়াল।
# বটি কিংবা ছুরি দিয়ে সব্জি বা মাছ-মাংস কাটাকাটি করার সময় জীবাণুও লেগে যেতে পারে। তাই এগুলোকে নিয়মিতভাবে জীবানুমুক্ত রাখা বাঞ্ছনীয়। মাছ-মাংস কাটার সময় প্রাণীদেহ হতে ছড়িয়ে পড়া রোগজীবাণু লেগে যেতে পারে বটিতে। শাকেও অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের জীবাণু লেগে থাকে। তাই এই ধরনের সব্জি কাটার পরও ভালো করে সাফ করতে হবে বঁটি।
# বাসন ধুয়ে রাখা থাকলেও ব্যবহার করার পূর্বে আরও এক বার ধুয়ে নিতে হবে। অপরিষ্কার বাসন বেসিন কিংবা সিঙ্কে পরিষ্কার না করাই ভালো। এতে সিঙ্কের মুখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। করলেও এই বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। স্টিলের বাসনের ক্ষেত্রে আগে থেকে গরমপানিতে চুবিয়ে রাখতে পারেন। কাঠের জিনিসপত্রের ক্ষেত্রে পরিষ্কার করার সময় বেকিং সোডা, লবণ এবং লেবু ব্যবহার করতে পারেন। বাসন ধোয়া হয়ে গেলে পুরোপুরিভাবে না শুকিয়ে বাসনের আলমারিতে কখনও তুলবেন না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।