দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ বাংলা চলচ্চিত্র নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছবিতে নবাব সিরাজের ভূমিকায় অভিনয় করা আনোয়ার হোসেন চিরদিনের মতো বিদায় নিয়েছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।) জীবনে অর্ধ শতকেরও বেশি সময় বাংলা চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ এবং বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।
স্কয়ার হাসপাতালে আনোয়ার হোসেনের তত্ত্ববধানকারী চিকিৎসক ডা. মির্জা নাজিমুদ্দিন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন, “রাত প্রায় আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।” রাতে এই গুণী অভিনেতার লাশ হিমাগারেই রাখা ছিলো। তিনি স্কয়ার হাসপাতালে আইসিইউ ২নং ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে ১৮ই আগষ্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে আনোয়ার হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষায় চিকিৎসকেরা তার পিত্তথলীতে পাথর থাকার বিষয়টি সন্দেহ করছিলেন কিন্তু অস্ত্রোপচারের মতো শারীরিক অবস্থা না থাকায় আপাতত স্যালাইন দিয়ে আনোয়ার হোসেনকে বাঁচিয়ে রাখছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনোয়ার হোসেনকে দেখতে হাসপাতালে যান, সে সময় তিনি তাঁর পরিবারকে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের জন্য ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন।
আনোয়ার হোসেন অভিনীত প্রথম ছবি ছিলো পরিচালক মহিউদ্দীনের “তোমার আমার।” এরপর একে একে অভিনয় করে যান – জীবন থেকে নেয়া, কাঁচের দেয়াল, অপরাজেয়, শহীদ তিতুমীর, পরশমণি, গোলাপী এখন ট্রেনে ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ছবিতে। তবে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে বাংলা চলচ্চিত্রের মুকুটহীন সম্রাট খেতাবে ভূষিত হন আনোয়ার হোসেন।
২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর।