দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘ বলেছে, পুরো বিশ্ব জুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ১১ কোটিতে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ, আফগানিস্তান সংকট ও সুদানের গৃহযুদ্ধের কারণে শরণার্থীর মোট সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে।
বলা হয়েছে, এদের অনেকেই অভ্যন্তরণীনভাবে নিজ দেশেও বাস্তুচ্যুত। বুধবার ইউএনএইচসিআরের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর রেকর্ডসংখ্যক মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। যুদ্ধ-সহিংসতায় নিজ দেশ এবং ঘর ছাড়তে বাধ্য হন প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ।
ইউএনএইচসিআর তার গ্লোবাল ট্রেন্ডস ইন ফোর্সড ডিসপ্লেসমেন্ট নামক বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত বছরের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ৮৪ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হন। ২০২১ সালের তুলনায় এই সংখ্যাটি ১ কোটি ৯১ লাখ বেশি। ইউক্রেন এবং সুদান সংঘাতে লাখ লাখ উদ্বাস্তু নতুন করে যোগ হওয়ায় বিশ্ব জুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে রেকর্ড ১১ কোটিতে পৌঁছেছে। এতে করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। তিনি বলেছেন যে, মানুষের মধ্যে সহিংসতা দিন দিন বাড়ছে। এতে করে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ বাড়ি ছাড়া হচ্ছেন। যুদ্ধ, নিপীড়ন, বৈষম্য, সহিংসতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কারণগুলোকেই দায়ী করেছেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।
জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, এমন একটি প্রতিবেদন হচ্ছে, যার জন্য পুরো বিশ্বকে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এই জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির সমাধান এতোই কঠিন হয়ে উঠছে যে, তার সমাধান তো দূর টেবিলে আলোচনার জন্য তোলাই যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, মেরুকরণ প্রবল এমন একটি বিশ্বে আমরা আছি, যেখানে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা যাবতীয় মানবিক ইস্যুকে ভুলুন্টিত করে দিচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনের মূলনীতি অনুসরণে দেশগুলোর মধ্যে শিথিলতার মাত্রাও বাড়তে দেখছি আমরা, এমনকি ওই কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী অনেক দেশের মধ্যেও এমনটি দেখা যাচ্ছে ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।