দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরো দিনভর সন্তানের দেখাশোনা করার পর রাতেও যদি একজন মাকে ঠায় কোলে নিয়ে বসে থাকতে হয়, সেটি বেশ চিন্তার বিষয়। তবে এর সমাধানও রয়েছে।
অনেক সময় শিশুরা কিছুটা বড় হওয়ার পরও রাতে ঘুম পাড়াতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয়। একেবারে ছোট শিশুদের মূলত খিদে পেলে কিংবা পোশাক ভিজে গেলে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। শারীরিক কোনও অসুবিধা থেকেও এমন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে বেশ কয়েকটি টোটকা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
# সন্তানকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। খুদের শরীরে যদি পানির ঘাটতি থাকে, তাহলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তবে, সন্ধের পর থেকে বেশি পানি খেতে না দেওয়ায় ভালো। তাহলে রাতে বার বার প্রস্রাবের বেগও আসতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ঘুম পাড়ানো তখন সমস্যার হয়ে উঠতে পারে।
# শিশুকে সারাদিন ঘরের মধ্যে আটকে রাখলে চট করে ঘুম নাও আসতে পারে। তার চেয়ে শিশুকে নানা রকম কসরত করার সুযোগ দিন। সারাদিন দৌড়-ঝাঁপ করলেই ক্লান্ত হয়ে খুদে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে পারে।
# নির্দিষ্ট একটা সময়ের পর বাইরের জগতের সঙ্গে সন্তানের যোগাযোগ কমিয়েও আনতে হবে। ঘরের চড়া আলো নিভিয়ে মৃদু আলো জ্বালিয়ে রাখতে পারলে আরও ভালো হয়।
# প্রতিরাতে নির্দিষ্ট সময় সন্তানকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। মাঝরাতে খিদে পেলে হাতের কাছে দুধের ব্যবস্থাও করে রাখুন। খাওয়াতে যেনো বেশি সময় না লাগে। তাহলে আবার ঘুম কেটেও যেতে পারে।
# ঘুম পাড়াতে খুব সমস্যা হলে রাতে শিশুর সারাদেহে তেল মালিশ করতে পারেন। শরীরে যদি কোনও অস্বস্তি হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে হালকা গরম তেলের মালিশও দারুণ কাজ করে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।