দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ও মালালা ফান্ডের যৌথ উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ‘অদম্য’ (ODOMMO ) প্রকল্প, যার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৭ জুন ২০২৩।
নভেম্বর ২০২৩ থেকে শুরু করে ২০২৫ পর্যন্ত চলবে এই প্রকল্পটি যার মূল উদ্দেশ্যই হলো আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।
প্রকল্পের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডিএসএইচই-এর মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, সঙ্গে ছিলেন মালালা ফান্ড -এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোশাররফ তানসেন ও জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান করভি রাকসান্দ।
জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ও মালালা ফান্ড -এর ‘অদম্য’ (ODOMMO ) প্রকল্পটি বাংলদেশের শিক্ষা হতে পিছিয়ে পড়া মেয়ে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার একটি প্রয়াস। জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য, লিঙ্গ বৈষম্যর মতো বিভিন্ন বাধা মোকাবেলা করে মেয়েদের ক্ষমতায়ন, অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যম গুণগত এবং মানসম্মত শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়াই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান করভি রাকসান্দ বলেছেন, “বাংলাদেশে প্রায় ৩৪.৮৬% মেয়েরা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয় না ও দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং পরিবেশগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে এর প্রায় অর্ধেকই ঝরে পড়ে যা তাদের শিক্ষার পথচলায় বাধা সৃষ্টি করে। আমার বিশ্বাস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু হলে এটি মেয়েদের সঠিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে তাদের পূর্ণ সম্ভবনাই পৌঁছতে সাহায্য করবে।”
মালালা ফান্ড -এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোশাররফ তানসেন বলেন, “মালালা ফান্ড মূলত কাজ করে প্রত্যেক শিশু এবং নারীসহ সবাই যেনো গুণগত শিক্ষার আওতায় চলে আসে। সেই আলোকে মালালা ফান্ড ২০২০ সাল হতে বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। আপনারা জানেন বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির দিক দিয়ে ৫ম স্থানে রয়েছে। আমরা চাই আমাদের মেয়েদের জলবায়ু পরিবর্তনের সহনশীল হিসেবে গড়ে তুলতে। আমাদের অদম্য কর্মসূচির এটিই লক্ষ্য। এইজন্য আমরা চর, হাওর অঞ্চলকে বেছে নিয়েছি এই কর্মসূচির জন্য ও জাগো ফাউন্ডেশন মিঠামইনে এই কাজটার জন্য দায়িত্ব পেয়েছে । এখন জাগো ফাউন্ডেশন ২টা স্কুলে কাজ শুরু করেছে তবে আমরা আশা করছি সামনে আরও ৯টা স্কুল ও ২টা মাদ্রাসায় কাজ শুরু করবে।”
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, “জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের মতো সংগঠন, যারা আমাদের হাওর এলাকায় এসে, শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করছে- এমন দৃষ্টান্ত সত্যিই বিরল। জাগো ফাউন্ডেশন এবং মালালা ফান্ড আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছে, হাওর এলাকায় যারা ঝরে পড়ছে, তাদের নিয়ে কাজ করছে, এভাবে আমাদের শিক্ষার উন্নয়নে এবং জাতি গঠনে তারা ভূমিকা রাখছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেনোনা, একটি শিক্ষিত জাতি যতোক্ষণ পর্যন্ত আমরা গড়তে না পারবো, ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরা উন্নত জাতিতে পরিণত হতে পারবো না।”
এই প্রকল্পের একজন সুবিধাভোগী ঘাগড়া আঘাগড়া আঃ গণি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “জাগো ফাউন্ডেশন এবং মালালা ফান্ডের এই ODOMMO প্রকল্পটি নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। আমার মতে, এটি আমাদের ছাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতেও সক্ষম হবে। এই প্রকল্পটি দারিদ্রতা, বিভেদের মতো সীমাবদ্ধতা ভেঙে দিয়ে একটি অনুকূল ও সহায়ক শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলে আমি আশা করি। দারিদ্রতা, সামাজিক নিয়ম ও বৈষম্যের মতো বাধা ভেঙে দিয়ে, এই প্রকল্পটি আমাদের দেশের মেয়েদের শিক্ষা এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত করবে। আমাদের মেয়েরাও হবে স্বাবলম্বী, পৌঁছাবে উচ্চতার নতুন শিখরে।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।