দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদি আরবের মক্কায় আরাফাতের ময়দান ২৫ লাখের বেশি মানুষের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে।
সৌদি আরবের মক্কায় আরাফাতের ময়দান ২৫ লাখের বেশি মানুষের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে আরাফাতে উপস্থিত হয়েছিলেন লাখ লাখ হাজি। সেখানেই ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন তারা। হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে মুসল্লিরা মিনা, আরাফাতের ময়দান, মুজদালিফা এবং মক্কায় ৫ দিন অবস্থান করবেন।
এদের মধ্যে অনেকেই একসঙ্গে মসজিদে নামিরাতে ফজরের নামাজও আদায় করেন। তারপর তারা যান মুজদালিফায়। এবারই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হজ সম্পন্ন হতে চলেছে বলে দাবি করেছে সৌদি সরকার।
দিনের আলো ফোটার পর অনেকেই পায়ে হেঁটেও যেতে থাকেন। গতকাল (মঙ্গলবার) মসজিদে নামিরাতে হজের খুতবা পাঠ করেছেন শেখ ডক্টর ইউসুফ বিন মোহাম্মদ বিন সাঈদ। এই মসজিদে জোহর ও আসর নামাজেও ইমামতি করেন তিনি। মাগরিবের নামাজ শেষে হাজিরা যান মুজদালিফায় ও সেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করেন। আজ (বুধবার) সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। আগত হাজিরা মিনার জামারায় শয়তানকে উদ্দেশ করে পাথর নিক্ষেপ করবেন। তারপর কুরবানি দেবেন। সৌদি আরবের হজ এবং ওমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিহাসে এবার সবচেয়েই বেশি হাজির পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে কাবাপ্রাঙ্গণ। স্থানীয় সময় গত রবিবার সন্ধ্যায় হাজিরা মিনার দিকে রওনা হয়েছিলেন, এটি কাবা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তারপর আরাফাত ময়দানে যান তারা। শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এই আরাফাতের ময়দানে তার সর্বশেষ ভাষণ দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বিশ্বের ১৬০টি দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজির কাবা প্রদক্ষিণের মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছিলো। মোট ৩২৫টি হজ ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার ৮শ ৮৪ হজ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেন। যারমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১শ ৮০ জন হজযাত্রী। সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪শ ৬৮ জন হজযাত্রী। ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করে ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২শ ৩৬ জন হজযাত্রী। আর সৌদি আরব থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই এবং শেষ ফিরতি ফ্লাইট হবে আগামী ২ আগস্ট।