দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকলে অনেকেরই গমের আটা খেতেই পারেন না। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়ও রয়েছে।
গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকলে অনেকেরই গমের আটা খেতেই পারেন না। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়ও রয়েছে।
অনেকেইন পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েটে এক কাপ ভাতের সঙ্গে একটি রুটি খান। তবে অনেকেরই পেটে গমের আটার রুটি সহ্যই হয় না। হজমের গোলমালও হয়। রুটি খেলেই গলা বুক জ্বালা করা শুরু হয়। ডায়েট মেনে বাড়িতে তৈরি রুটি খাওয়ার পরেও যদি হজমের ওষুধ খেতেই হয়, তাহলে বেশ মুশকিল। চিকিৎসকরা বলেছেন, গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকলে অনেকেই গমের আটা খেতেই পারেন না। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়ও রয়েছে। গমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বেশ কিছু দানাশস্যের আটা, যেগুলো খেলে অন্ত্রের সমস্যাও হয় না।
বাজরার রুটি
বাজরা কিংবা ‘পার্ল মিলেট’ গমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ফাইবার, আয়রণ, ম্যাগনেশিয়াম ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণে সমৃদ্ধ বাজরা অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। হজমের গন্ডগোল থাকলে তাও নিরাময় করে থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বাজরার রুটি।
জোয়ারের রুটি
জোয়ার কিংবা সরঘমের রুটি খেতে পারেন গমের রুটির বিকল্প হিসেবে। সহজপাচ্য ফাইবার, প্রোটিন, আয়রণ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর জোয়ারের আটা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। আবার রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে দিতে পারে। তবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বশে থাকে। হজমের সমস্যা থাকলেও খেতে পারেন এইসব রুটি।
রাগীর রুটি
যারা প্রায় সময় পেটের সমস্যায় ভোগেন, বিশেষত তারা গমের আটার পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন রাগী কিংবা ‘ফিঙ্গার মিলেট’। যাদের গ্লুটেনে অ্যালার্জি রয়েছে, পুষ্টিবিদরাও তাদের এই আটা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বেসনের রুটি
ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের খনিজ, প্রোটিন, আয়রণ এবং জ়িঙ্কের গুণে ভরপুর ছোলার আটা বা বেসন ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতেও সাহায্য করে এই বেসনের রুটি।
মাল্টিগ্রেন রুটি
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গম, মিলেট, ওট্স, বার্লি মিশিয়ে তৈরি আটাই সব চাইতে ভালো বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। ফাইবার, প্রোটিন, বিভিন্ন ভিটামিনের গুণে সমৃদ্ধ এই আটা খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।