দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হজমের সমস্যা এবং বাতের ব্যথা থেকে ক্যান্সার সমস্যার সমাধান হতে পারে একটি ফলে! কোন সেই ফল? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আনারসে এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা বহু রোগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম।
গরম পড়া শুরু হতেই হজমের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। আবার আবহাওয়ার পরিবর্তনে বাড়ির শিশু বা বয়স্কদের জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গও তো রয়েছেই। এই রকম ছোটখাটো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমেই মুঠো মুঠো ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন খুব সাধারণ একটি ফল আনারসের উপর। আনারসে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ একটি এনজাইম ‘ব্রোমেলেইন’ যা হজমেও সহায়তা করে। ভিটামিন সি, বি এবং ভিটামিন বি১-এর মতো যৌগগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে।
প্রতি ১০০ গ্রাম আনারস থেকে পাওয়া যায় মাত্র ৫০ কিলোক্যালরি। তাই এখান থেকে শরীরে বাড়তি মেদ জমার কোনও সম্ভাবনাও নেই। আনারসে রয়েছে পেকটিন নামক গুরুত্বপূর্ণ একটি ডায়েটরি ফাইবার। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে থাকে। ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্সের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন উপাদান যেমন- ফলেট, থায়ামিন, পাইরিওফিন এবং রাইবোফ্লোবিনও পাওয়া যায় এই আনারসে।
হজমে সাহায্য করা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা ছাড়াও আনারস আরও যে উপকার পেতে পারেন:
ক্ষত সারিয়ে তোলে আনারস
আনারসের মধ্যে ‘ব্রোমেলেইন’ নামক যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি বিদ্যমান, তা প্রদাহনাশ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। শরীরের ক্ষত সারাতে কিংবা সংক্রমণ কমাতেও সাহায্য করে এই আনারস।
বাতের ব্যথা উপশমে আনারস
শরীরে অস্থিসন্ধির ব্যথা কিংবা বাতের ব্যথায় সমানভাবে কার্যকরী এই আনারস। হালের এক গবেষণা বলছে, আনারসে থাকা ‘ব্রোমেলেইন’ নামক উৎসেচক এই ধরনের ব্যথা কমাতেও বিশেষভাবে কাজ দেয়।
আনারস ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, আনারসে থাকা যৌগগুলো ক্যান্সারের মতো মারণরোগের তেজ অনেকটা কমিয়েও আনতে পারে। ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে শরীরের অন্যত্র ছড়াতে বাধা সৃষ্টি করে এটি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।