দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধু মানুষ নয় পাখিদেরও নাকি বিচ্ছেদ ঘটে! সম্প্রতি এমনই একটি পাখিদের ছবি ও খবর সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে।
ভালবাসার বিপরীতে যেনো চ্ছেদ শব্দটিও সমানতালে পাল্লা দিয়ে এগুচ্ছে। নানা কারণে বহু দম্পতি বেছে নিচ্ছেন বিচ্ছেদের পথ। তবে আপনি জানলে সত্যিই অবাক হবেন শুধু মানুষই নয় পশু-পাখিদের মধ্যেও চলে মান-অভিমানের পালা, ঘটে বিচ্ছেদের ঘটনা!
সম্প্রতি এক গবেষকরা পাখিদের এই বিচ্ছেদের বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। তারা বলেছেন, পাখিদের মধ্যে বিচ্ছেদের কারণগুলো অনেকটা মানুষের মতোই। যৌনজীবনে অতৃপ্তি, বিভিন্ন বিষয়ে অবসাদ থেকে তারা নানা কারণে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সঙ্গীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ নেওয়ার পাখিদেরও নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি রয়েছে। বিচ্ছেদের কারণগুলো এক রকম হলেও প্রজাতি অনুযায়ী বদলে যেতে পারে বিচ্ছেদ নেওয়ার ধরণ।
স্বাভাবিকভাবে পশুদের মধ্যে বহুগামিতা দেখা যায়। কিন্তু পাখিরা সাধারণত একটি প্রজননবর্ষে একজন সঙ্গীকেই নির্বাচন করে। তবে তার সঙ্গীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ, বহুগামী মনোভাব, পরিযায়ী পাখিদের এক জায়গা থেকে অন্য কোনো জায়গার দূরত্ব এবং বয়সজনিত মৃত্যু ইত্যাদি নানা কারণে পাখিদের মধ্যেও বিচ্ছেদ হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org